নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭ জন মারা গেছেন। আগের দিনে এই রোগে মারা গিয়েছিল ৪ জন। এ সময়ে সংক্রমণ কমেছে ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ২৪১ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। রোববার করোনায় শনাক্তের হার ছিল ১১ দশমিক ১২ শতাংশ। আজ তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৯৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৭২ জন। আগের দিন ৮ হাজার ৯১ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৯০০ জন।
দেশে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার ৮৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় মোট শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৯৭ হাজার ৪১২ জন। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৯৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ২৬ হাজার ৯৫৭ জন। সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গতকাল সুস্থতার হার ছিল ৯৬ দশমিক ৪২ শতাংশ।
এদিকে রাজধানীসহ ঢাকা জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজার ৩১০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ৫৬২ জন। শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ। গতকাল শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।
মহামারি শুরুর দুই বছর গড়িয়ে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপট কমলে গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে এসেছিল। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে একপর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশর নিচে নেমে আসে।
গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। শনাক্তের হার ১ শতাংশের নিচে ছিল বেশ কয়েকদিন। তবে গত ২২ মের পর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবার বাড়ছে। ১১ সপ্তাহ পর দৈনিক শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা গত ১২ জুন একশ ছাড়িয়ে যায়। ১৫ দিনের মাথায় সোমবার তা দুই হাজারের ঘরও ছাড়ায়।এই অবস্থাকে মহামারির ‘চতুর্থ ঢেউ’ বলা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। এজন্য মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর আবার জোর দেয়া হচ্ছে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৭ জনের মৃত্যু
