নিজস্ব প্রতিবেদক; দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত) ১২৮ জনের শরীরে কভিড-১৯ সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাদের মধ্যে ১১৪ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। এর বাইরে চট্টগ্রামে ৫ জন, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া ও কুমিল্লায় ২ জন করে এবং গাজীপুর, মানিকগঞ্জ ও নরসিংদীতে ১ জন করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৬৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
দেশে ১১ সপ্তাহ পর দৈনিক শনাক্ত কভিড রোগীর সংখ্যা গত রোববার আবার একশ ছাড়িয়ে যায়। সারা দেশে ১০৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২৫ মার্চ একশর বেশি, ১০২ জন কভিড রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রমণের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নামে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে একপর্যায়ে তা একশর নিচে নেমে আসে। ২০২০ সালের মার্চে দেশে মহামারি শুরুর পর একটানা এত দীর্ঘ সময় সংক্রমণ আর কখনও নিয়ন্ত্রণে থাকেনি। এক্ষেত্রে টিকার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
সংক্রমণ কমার ধারায় গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। তবে গত ২২ মের পর থেকে টানা ১১ দিন ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবার বাড়ছে। গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৯১ শতাংশ, যা আগের দিন ২ দশমিক ০৬ শতাংশ ছিল।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ২৪৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি। ফলে মৃতের মোট সংখ্যা আগের মতোই ২৯ হাজার ১৩১ জন রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ৭১ জন কভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৫ হাজার ৩৩৭ জন সেরে উঠলেন। মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় ১২৮ জনের কভিড শনাক্ত
