নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) উদ্বোধন করা হয়েছে জরুরি বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২৪ বছর পর প্রাথমিকভাবে ১০০টি শয্যা নিয়ে এ জরুরি বিভাগ চালু করা হয়েছে।
গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাবিন ব্লকে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ সাধারণ জরুরি বিভাগ উদ্বোধন করেন। ফলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ ঘণ্টাই মিলবে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা। এতদিন বহির্বিভাগ থাকলেও সাধারণ জরুরি বিভাগ ছিল না। কেবল অর্থোপেডিক ও কার্ডিওলজিসহ মাত্র কয়েকটি বিভাগে এ সেবা ছিল।
জরুরি বিভাগ উদ্বোধন করে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে সাধারণ জরুরি বিভাগের বিকল্প নেই।’
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি বিভাগের কার্যক্রম শুরু করা ছিল বহুল কাক্সিক্ষত বিষয় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আরও আগেই এ কার্যক্রম শুরু করার কথা থাকলেও কভিড সংক্রমণের প্রকোপের কারণে তা সম্ভব হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আজ থেকে আমাদের সব বিভাগের রোগীরা জরুরি সেবা পাবেন। রোস্টার করে ৫৬টি বিভাগের সংকটাপন্ন রোগীদের এ সেবা দেয়া হবে।’
সেইসঙ্গে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা জরুরি বিভাগে করা যাবে বলে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘সব বিভাগের জরুরি সেবা এখানে হবে। আমাদের প্রায় দুই হাজারের মতো চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্ট আছেন।’
বর্তমানে ১০০টি শয্যা নিয়ে সাধারণ জরুরি বিভাগ চালু হলেও পরবর্তীকালে শয্যাসংখ্যা ২০০-তে উন্নীত করা হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া গাইনি, নবজাতক, অর্থোপেডিক, নিউরো সার্জারি ও কার্ডিওলজিসহ বিভিন্ন বিভাগে বিদ্যমান জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে।
অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে যে ১০০টি বেড রয়েছে, সে অনুযায়ী রোগী ভর্তি নেয়া হবে। ঢাকা মেডিকেলের মতো অতিরিক্ত রোগী ভর্তি নেয়ার সুযোগ এখানে না থাকলেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগে রোগী ট্রান্সফার করা গেলে জরুরি বিভাগে সাময়িকভাবে ভর্তি নেয়া হবে।’
জরুরি বিভাগে স্ট্রোকের রোগীদের জন্য তিনটি বেড রাখা হয়েছে। অল্প সময়ে চিকিৎসা দেয়া যাবে, এমন স্ট্রোকের রোগীদের সেখানে ভর্তি নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
জরুরি বিভাগে বিভিন্ন পরীক্ষা করা যাবে বলে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘ইমার্জেন্সিতে আমাদের ল্যাব রয়েছে। এখানেই সিটি স্ক্যান এবং এমআরআই করা যাবে। অর্থাৎ এক জায়গা থেকে সব সেবা নেয়া যাবে। আমরা মনে করি, এর মাধ্যমে রোগীদের ভোগান্তি দূর হবে, অনেকেই উপকৃত হবেন।’
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন ও প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।