নিজস্ব প্রতিবেদক: ২৫০ কোটি টাকার সাব-অর্ডিনেটেড রিডিমেবল নন-কনভারটেবল বন্ড বা অরূপান্তরযোগ্য বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। যার মেয়াদ হবে সাত বছর। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এই বন্ড ইস্যু করা হবে। বন্ডের মেয়াদ হবে সাত বছর। তবে গ্রেস পিরিয়ড হবে দুই বছর। বন্ডটিতে সর্বনি¤œ এক কোটি টাকার আবেদন করতে হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে এ বন্ড ছাড়া হবে।
৩১ মার্চ, ২০১৭ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৪৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ১৭ টাকা ৮০ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১৫ জুন বেলা ১০টায়, স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টার লিমিটেড, গুলশান-১, ঢাকায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩১ মে।
চলতি হিসাববছরের প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইপিএস হয়েছে ৫১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৯ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ৩২ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৬১ পয়সা, যা ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত সময় ছিল ১৭ টাকা ৮০ পয়সা। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ২০ দশমিক ৩৬ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৩ দশমিক ৯৭।
আর্থিক খাতের কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। গতকাল কোম্পানিটির আট কোটি ৪৩ লাখ ৩২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৩০ লাখ ২৮ হাজার ২০৯টি শেয়ার মোট এক হাজার ১৮২ বার হাতবদল হয়। ওই দিন শেয়ারদর আগের দিনের তুলনায় তিন দশমিক ৬২ শতাংশ বা এক টাকা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৮ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৮ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৮ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৩৩ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। ২০১৫ সালে সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের পাঁচ শতাংশ নগদ ও সাত শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা কমরছিল, যা আগের বছর ছিল ১০ শতাংশ বোনাস। এ সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৪০ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছিল ১৮ টাকা ৭৫ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৬৫ পয়সা ও ১৪ টাকা ৯৫ পয়সা। ওই বছর কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ১৮ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৪২ কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ১০৭ কোটি ৯ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট ১৪ কোটি ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৬০৩টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই’র সর্বশেষ তথ্য মতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ ও বাকি ৩৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
অন্যদিকে, মাইডাস ফাইন্যান্স ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ সমাপ্ত ১৮ মাসের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোন লভ্যাংশ ঘোষনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ সময় ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ২২ পয়সা এবং এনএভি ৯ টাকা ৬০ পয়সা। আগের বছর একই সময় শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল এক টাকা ২৪ পয়সা ও এনএভি ছিল সাত টাকা ৩৭ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২০ জুন বেলা ১১টায়, মাইডাস সেন্টার, বাড়ি নং- ০৫ (১২ তলা), সড়ক নং- ১৬ (নতুন), ২৭ (পুরাতন), ধানমন্ডি, ঢাকায় এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৯ মে।
Add Comment