নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ রাইট শেয়ার ইস্যুর পাশপাশি কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি থেকে বেড়ে ৩০০ কোটি টাকায় দাঁড়াবে। এছাড়া কোম্পানিটি ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ২২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি বিদ্যমান একটি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার ইস্যু করবে। প্রিমিয়ামসহ রাইট শেয়ারের ইস্যু মূল্য ২০ টাকা, যেখানে ১০ টাকা প্রিমিয়াম। জানা গেছে, রাইট শেয়ার ছাড়ার মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যবসার প্রবৃদ্ধির সঙ্গে মূলধন শক্তিশালীকরণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং জমি কেনার জন্য খরচ করা হবে। রাইট শেয়ার ইস্যু করে বাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের পাশাপাশি কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা থেকে ৩০০ কোটি টাকায় উন্নীত হবে। সিদ্ধান্তটি কার্যকর করতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।
এদিকে জানা গেছে, ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ২৫ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৯৮ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ পরিচালন অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য এবং অনুমোদিত মূলধন বৃদ্ধি ইস্যুতে বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর সকাল ১০টায় গাজীপুরের বোর্ডবাজারে অবস্থিত ফখরুদ্দিন অ্যান্ড সন্স কমিউনিটি সেন্টারে যথাক্রমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। লভ্যাংশ ঘোষণার জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর। আর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুমোদনের পর রাইট শেয়ারসংক্রান্ত পরবর্তী রেকর্ড ডেটের তারিখ ঘোষণা করা হবে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১১২ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১১১ টাকা ৯০ পয়সা। দিনজুড়ে সাত লাখ ৮৩ হাজার ৮০৭টি শেয়ার এক হাজার ৭৬০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর আট কোটি ৭৫ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১০৭ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১১৭ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৬৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১৩১ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ২২ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে, যা তার আগের বছরের চেয়ে দুই শতাংশ বেশি। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ২৪ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৩২ পয়সা। যা তার আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে তিন টাকা ২৭ পয়সা ও ৫০ টাকা ৪২ পয়সা। ২০১৮ সালে মুনাফা করেছে সাত কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যা আগের বছর হয়েছিল ছয় কোটি ৬৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৯ কোটি ৯১ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬২ কোটি ৮৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট দুই কোটি ৯৯ লাখ ১১ হাজার ৩৪০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪৬ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।