শেয়ার বিজ ডেস্ক: অস্ট্রিয়ার ৩২ বছর বয়সী অ্যাক্টিভিস্ট মার্লেন এঙ্গেলহর্ন উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া অর্থের একটি বড় অংশ দান করে দিচ্ছেন, যার পরিমাণ প্রায় ২৫ মিলিয়ন ইউরো। মোট ৭৭টি সংগঠনের মধ্যে এই অর্থ ভাগ করে দেয়া হবে। খবর: বিবিসি।
২০২২ সালে দাদি মারা যাওয়ার পর মার্লেন বিপুল অর্থ পান। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওই অর্থের একটি বড় অংশ দান করে দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
কেমিক্যাল কোম্পানি বিএএসএফের প্রতিষ্ঠাতা ফ্রিডরিশ এঙ্গেলহর্নের বংশের সদস্য মার্লেন। সেই অর্থ কাদের দেয়া হবে, তা ঠিক করতে ৫০ সদস্যের একটি নাগরিক পরিষদ গঠন করা হয়। ওই পরিষদ মোট ছয় সপ্তাহান্ত বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৈঠক করার জন্য পরিষদের সদস্যরা আর্থিক সুবিধাও পেয়েছেন। পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তির বয়স ১৭। তিনি শিক্ষার্থী। আর সবচেয়ে বেশি বয়সি সদস্যের বয়স ৮৫।
গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে ৭৭টি সংগঠনের নাম জানিয়েছে নাগরিক পরিষদ। এর মধ্যে পরিবেশ, শিক্ষা, ইন্টিগ্রেশন, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য, সাশ্রয়ী আবাসন ও সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কাজ করা সংগঠন রয়েছে।
মার্লেন এঙ্গেলহর্ন অস্ট্রিয়া ও জার্মানির কয়েকজন মিলিওনেয়ারের একজন, যারা চান সরকার তাদের ওপর বেশি করে কর নির্ধারণ করুক। তাদের ইচ্ছা ধনী ও গরিবের মধ্যে সম্পদের ব্যবধান যেন কমে আসে।
যুক্তরাজ্যের দাতা সংস্থা অক্সফাম জানুয়ারিতে জানিয়েছিল, বিশ্বে বিলিওনেয়ারদের সম্পদ ২০২০ সাল যা ছিল, তার চেয়ে ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার বেড়েছে। আর এ সময়ে ৫০০ কোটির বেশি মানুষ আগের চেয়ে দরিদ্র হয়েছে। অক্সফ্যামের সমীক্ষা বলছে, দারিদ্র্য ও অসমতা বৃদ্ধির ফল লাভজনক হয়েছে ধনীদের জন্য। এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মতে, ক্রমবর্ধমান বৈষম্য গোটা বিশ্বকে আরও বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস, মার্ক জুকারবার্গ ও বিল গেটস বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন।
