নিজস্ব প্রতিবেদক: সদ্যঘোষিত মজুরি প্রত্যাখ্যান করে এবং অবিলম্বে ৬৫ শতাংশ বেসিকসহ পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা প্রদানের দাবি জানিয়ে আপত্তিপত্র দাখিল করেছে শ্রমিক সংগঠনগুলো। গত ৭ নভেম্বর ঘোষিত বেতন কাঠামোয় শুধু এন্ট্রি-লেভেলের কর্মীদের বেতন ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। অন্যান্য গ্রেডে ২০ থেকে ২৮ শতাংশ বেতন বাড়ানো হয়েছে। শ্রমিকরা এই বেতন কাঠামো প্রত্যাখ্যান করেছেন। ১১টি শ্রমিক সংগঠনের জোট ‘মজুরি বৃদ্ধিতে গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলন’ গতকাল রোববার মজুরি বোর্ড এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের কাছে সাত দফা দাবিসহ আপত্তিপত্র জমা দিয়েছে। নতুন বেতন কাঠামোর গেজেট প্রকাশের আগে বেতন কাঠামো সংশোধনের দাবি জানান তারা।
তারা মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনের সময় ‘শ্রমিক হত্যা’র বিচার এবং নিহতদের পরিবারকে নিহতের আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। এ ছাড়া তারা আহতদের যথাযথ চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। তারা বলেন, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার, বরখাস্ত ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। শ্রম আইনের ১৩(১) ধারার প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। গ্রেড বৈষম্য বন্ধ করতে হলে ৭ গ্রেডের পরিবর্তে ৫ গ্রেড করতে হবে। প্রতিটি গ্রেডে একই হারে মজুরি বাড়াতে হবে বলেও দাবি জানান তারা।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক হাসান গতকাল বলেছেন, সিনিয়র শ্রমিকদের আগে যেভাবে বেতন বেড়েছে, সেভাবে সব গ্রেডের জন্য একই হারে বেতন বাড়বে না। এন্ট্রি-লেভেলের কর্মীদের বেতন সবসময় বেশি বাড়ে।