শেয়ার বিজ ডেস্ক: মাত্র ২৬ শতাংশ ডেমোক্রেট আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। খবর: আল জাজিরা।
নির্বাচনে জয়ের সঙ্গে সঙ্গে রেকর্ড গড়েন জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তিনি। তবে এবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলেই প্রশ্ন উঠছে বাইডেনকে নিয়েÑআর কতদিন তাকে দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে রাখা যাবে? আগামী নভেম্বর মাসেই ৮০ বছর পূর্ণ হবে বাইডেনের। বয়সের কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ছে তার। তা সত্ত্বেও ২০২৪ সালের আগামী নির্বাচনে লড়তে চান তিনি। কিন্তু তার দল ডেমোক্র্যাট কি আদৌ সেই প্রস্তাবে রাজি হবে? টানাপড়েন বাড়ছে শাসক দলের মধ্যে।
এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাবেন বাইডেন। তিন দিনের এই সফরের মধ্যে নানা কূটনৈতিক বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, কূটনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান শক্ত করা বাইডেনের সফরের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু সেই সফরের ক্লান্তি পড়বে বাইডেনের স্বাস্থ্যেও। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী দল রিপাবলিক দাবি করেছে, স্মৃতিভ্রংশের সমস্যায় ভুগছেন বাইডেন। তবে সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে ডেমোক্র্যাটদের তরফে জানানো হয়েছে, সম্পূর্ণ সুস্থ প্রেসিডেন্ট।
২০২৪ সালের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল ডেমোক্র্যাট ভোটারদের মধ্যে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, অন্তত ৬৪ শতাংশ মানুষ বাইডেনকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান না। তাদের অধিকাংশের মতে, বাইডেনের বয়সের কারণেই তাকে আর প্রেসিডেন্ট পদে বসানো যাবে না। প্রসঙ্গত, আগামী নির্বাচনের সময় বাইডেনের বয়স হবে ৮২। কিন্তু কে হবেন তার যোগ্য বিকল্প নেতা? কঠিন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে ডেমোক্র্যাটদের।
শারীরিক সমস্যা ছাড়াও নানা প্রতিকূলতার মধ্যে রয়েছেন বাইডেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশকে শেষ পর্যন্ত সাহায্য করার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে চাপ পড়ছে দেশের অর্থনীতিতে। এছাড়া ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির কারণেও সাধারণ মানুষের রোষের মুখে রয়েছেন বাইডেন। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে সাম্প্রতিক কালে লাগাতার বন্দুক হামলা। ফলে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিল প্রণয়ন করতে তিনি বাধ্য হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার রায় নিয়েও সমস্যায় পড়েছেন তিনি।