Print Date & Time : 26 June 2025 Thursday 11:14 am

২৮৪ কোটি ডলারে টাইম কিনছে মেরেডিথ

শেয়ার বিজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগাজিন প্রকাশক টাইম ইনকরপোরেশনকে কিনতে যাচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক মার্কিন মিডিয়া কোম্পানি মেরেডিথ করপোরেশন। টাইম, পিপল, ফরচুন ও স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেডের মতো বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিনের প্রকাশক টাইম। প্রতিষ্ঠানটিকে কিনতে মেরিডিথকে গুনতে হবে ২৮৪ কোটি ডলার। যাদের সহযোগিতা দিচ্ছে কনজারভেটিভ বিলিয়নেয়ার কোখ ভাইয়েরা।

এর আগে ২০১৩ ও চলতি বছরের শুরুতে দুই দফা চেষ্টা করেও টাইমকে কিনে নিতে ব্যর্থ হয়েছিল মেরেডিথ। তাদের হাতে রয়েছে বেটার হোমস অ্যান্ড গার্ডেন, ফ্যামিলি সাইকেল, অল রেসিপির মতো লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন। টাইমকে কিনলে সংবাদ, বাণিজ্য, খেলা আর সাম্প্রতিক বিষয়ের বেশক’টি নামি ব্র্যান্ড যুক্ত হতে যাচ্ছে তাদের তালিকায়।

মেরেডিথ ও টাইম একীভূত হওয়ার পর তাদের সম্মিলিত পাঠকের সংখ্যা হবে প্রায় সাড়ে ১৩ কোটিতে; আর তাদের ম্যাগাজিনের বিক্রি দাঁড়াবে ছয় কোটিতে। ইন্টারনেটে কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই ১৭ কোটি পাঠকের প্রকাশকে পরিণত হবে মেরেডিথ।

টাইমকে কিনে নিতে সব মিলিয়ে ২৮৪ কোটি ডলারের চুক্তি হবে। এর মধ্যে ১৮৪ কোটি ডলার পরিশোধ করা হবে নগদে। বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় থাকা চার্লস ও ডেভিড কোখের কোম্পানি কোখ ইকুইটি ডেভেলপমেন্ট ৬৫ কোটি ডিলারের জোগান দেবে। অর্থায়ন করলেও মেরেডিথের পর্ষদে আসছে না কোখদের কেউ। প্রকাশনার ব্যবস্থাপনা বা সম্পাদকীয় সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও তাদের কোনো প্রভাব থাকবে না।

যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টির রক্ষণশীলদের মধ্যে প্রভাব রয়েছে কোখ ভাইদের। এর আগেও লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস, শিকাগো ট্রিবিউনের মতো পত্রিকা কিনে নেওয়ার আগ্রহের কথা শোনা গিয়েছিল তাদের মুখে।

রোববার এক বিবৃতিতে মেরেডিথ বলেছে, আগামী বছরের প্রথম তিন মাসের মধ্যে তারা টাইম অধিগ্রহণের কাজ শেষ করতে চায়। বিজ্ঞাপনদাতারা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের দিকে ঝোঁকায় প্রিন্ট মিডিয়ার দুর্দিনের মধ্যে বেশ কয়েক বছর ধরেই ব্যবসা চালাতে হিমশিম খাচ্ছিল নিউইয়র্কভিত্তিক টাইম। এ পরিস্থিতিতে ব্যয় সংকোচনের পাশাপাশি আরও বেশি ডিজিটাল বিজনেসে সম্পৃক্ত হওয়ার ওপর জোর দিয়ে আসছিলেন টাইম সিইও রিচ বাতিস্তা।

গত কয়েক বছরে কোস্টাল লিভিং, সানসেট ও গলফের মতো কয়েকটি ম্যাগাজিনের মালিকানাও ছাড়তে হয়েছে টাইমকে। মেরেডিথের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পর টাইম ছাড়বেন এর সিইও বাতিস্তা। তার আগ পর্যন্ত হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সহযোগিতা দিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন তিনি।