নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের মাত্রা জুলাইয়ের ২৮ তারিখ থেকে বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘মানুষ যখন দিন দিন ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথের মিছিলে শরিক হচ্ছে, ঠিক সেই সময় সরকার তার পুরোনো কায়দায় গুম, গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে ২৮ জুলাইয়ের পর থেকে।’
গুলশানে গতকাল রোববার বিকালে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘শনিবার খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে হওয়া শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে বিএনপির শত শত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শত শত পুলিশ ও সাদা পোশাকধারী পুলিশ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ঘিরে রেখেছে। কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ বেশ কিছু নেতাকর্মীকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করেছে।’
ছাত্রদলের ছয় নেতাকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১৮ আগস্ট ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসানকে তার আজিমপুরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। এ খবর শোনার পর তার বাসার সামনে যান কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি
মো. হাসানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল রিয়াদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হল ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দীন মোহাম্মদ বাবর, শিক্ষানবিশ আইনজীবী আরিফ বিল্লাহ প্রমুখ। আকস্মিভাবে সেখানে হানা দিয়ে তাদের তুলে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা।’
শনিবারের বিক্ষোভে হবিগঞ্জে দুই শতাধিক নেতাকর্মী পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন বলে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আহত নেতাকর্মীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেও যেতে বাধা দেয়া হয়েছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সারাদেশে প্রতিদিনই নেতাকর্মীদের নামে মামলা ও গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে। সরকারপ্রধানের নির্দেশে কিছু অতি উৎসাহী দলবাজ পুলিশ এহেন বেআইনি কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছেন।’