Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 2:47 pm

২৮ ডিসেম্বরের পর অ্যাপের মাধ্যমে বুস্টার ডোজের নিবন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজের জন্য আপাতত সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আগামী ২৮ ডিসেম্বরের পর নিবন্ধন করা যাবে, তবে এ সময়ের মধ্যে কেউ বুস্টার ডোজ নিতে চাইলে আগের টিকা কার্ডের মাধ্যমে নিতে পারবেন।

গতকাল দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) মিলনায়তনে এ টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ষাটোর্ধ্বদের বুস্টার ডোজ দিতে যা যা প্রস্তুতি দরকার, আমরা নিচ্ছি। তবে আমাদের প্রস্তুতি এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। সুষ্ঠুভাবে এ কার্যক্রম চালাতে আমরা সুরক্ষা অ্যাপ আপডেট করছি। আইসিটি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা আরেকটু সময় নেবে, আগামী ২৮ ডিসেম্বরের আগে তারা অ্যাপটা আপডেট করতে পারবে না। তাই অ্যাপের মাধ্যমে বুস্টার ডোজের রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) এখনই করতে পারছি না। কিন্তু বুস্টার ডোজ কর্মসূচি চলমান থাকবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেশ কয়েক ধরনের ভ্যাকসিন আমরা দিয়েছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রটোকল অনুযায়ী এসব দিয়েছি। বুস্টার ডোজও আমরা ডব্লিউএইচওর প্রটোকল অনুযায়ী দেব। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা ফাইজারের টিকা দেব। ডব্লিউএইচও বলেছে, যারা অন্যান্য টিকা নিয়েছে তারাও বুস্টার হিসেবে ফাইজারের টিকা নিতে পারবে। আমরা শুনেছি মডার্নাও বুস্টার ডোজ হিসেবে দেয়া যায়। আমাদের স্টকে মডার্নার টিকাও আছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, আগামী জানুয়ারি মাস নাগাদ দেশে আরও দুই কোটি ডোজ ফাইজারের টিকা আসবে। সেইসঙ্গে টিকার কোনো ঘাটতি হবে না। টিকা যাদের প্রাপ্য তাদের সবাইকে টিকা দেব। যদি দেশের ৭০ ভাগ মানুষকে টিকা দিতে হয়, তাহলে ২৪ কোটি টিকা লাগবে। তার অর্থ হলো ১২ কোটি মানুষকে টিকা দেয়া। ১২ কোটি মানুষকে আমাদের টিকা দিতে হবে।

আগামী এপ্রিলের মধ্যে দুই ডোজ করে ৭০ ভাগ মানুষকে টিকা দিতে গেলে ১৩ কোটি টিকা লাগবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন মাঠপর্যায়ে চার কোটি ৬৩ লাখ টিকা আছে। চলতি ডিসেম্বর মাসে আরও ছয় কোটি ৫৫ লাখ টিকা আসবে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘২০২২ সালের প্রথম কোয়ার্টারের মধ্যে আরও ৯ কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে। আগামী ৩১ মার্চ নাগাদ ওয়েস্টেজসহ ১৬ কোটি ৮৫ লাখ টিকা হাতে থাকবে। আর এপ্রিলের মধ্যে আমাদের ৭০ শতাংশের জন্য প্রয়োজন হবে ১৩ কোটি টিকা। তখন আমাদের হাতে থাকবে সাড়ে ১৬ কোটির বেশি টিকা। কাজেই টিকার ঘাটতি হবে না।’