শেয়ার বিজ ডেস্ক: দীর্ঘ ২৯ বছর পর সলোমন দ্বীপপুঞ্জে দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর: সিএনএন।
১৯৯৩ সালে ওশেনিয়া অঞ্চলের সলোমন দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী হোনিয়ারায় দূতাবাস বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। একটি কনস্যুলেট অফিস রয়েছে সেখানে। সেই কার্যালয়ের মাধ্যমে যাবতীয় কূটনৈতিক কাজকর্ম সম্পন্ন হয়।
সলোমন দ্বীপপুঞ্জের প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনির রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি দূতাবাস রয়েছে।
শিগগির সলোমন দ্বীপপুঞ্জের আরেক প্রতিবেশী দেশ ফিজি সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের। ফিজি সফরে গিয়ে তিনি সলোমন দ্বীপপুঞ্জে আবার দূতাবাস খোলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের আধিপত্য ঠেকাতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বে চীনের আধিপত্য বাড়ছে। বিশেষ করে শি জিনপিংয়ের সময় অতীতের তুলনায় দেশটির দাপট বেড়েছে। একে আগ্রাসন মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই সলোমন দ্বীপপুঞ্জে বাইডেন প্রশাসন এমন পদক্ষেপ নিল।
গত বছর নভেম্বরে চীনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে প্রাণঘাতী দাঙ্গা হয়। তখন বিক্ষোভকারীরা সংসদে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি রাজধানী হোনিয়ারার চায়না টাউনের বিস্তীর্ণ এলাকায় আগুন ধরিয়ে দেয়। তিন দিন ধরে চলে তাণ্ডব। চীন তাদের দেশটি কবজা করতে চাইছে এমন অভিযোগে রাস্তায় নেমে সরব হয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা দেশটি ত্যাগ করার পর এই সহিংস ঘটনা ঘটে।
বাইডেন প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, এটা নিশ্চিত যে চীন প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলেও সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে চায়। তাদের কারণে এ অঞ্চলটি অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।