নিজস্ব প্রতিবেদক: ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ৫০৯ কোটি ৩৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই কোটি ৭৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার। এজন্য সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত কমিটিতে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া এক লাখ ৩০ হাজার টন ইউরিয়া-পটাশ কিনবে সরকার। গতকাল বুধবার সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাবটি অনুমোদন পায়। সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
অতিরিক্ত সচিব জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবির জন্য সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেডের কাছ থেকে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৮৪ টাকা ৮৪ পয়সা। এতে মোট ব্যয় হবে ২০৩ কোটি ৩২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
তিনি জানান, সুং শিং এডিবল অয়েলের কাছ থেকে ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে। এক্ষেত্রে প্রতি লিটারের দাম ধরা হয়েছে ১৮৪ টাকা ৫০ পয়সা। এতে মোট ব্যয় হবে ১০১ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
সাঈদ মাহবুব খান জানান, এছাড়া সুপার ওয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৮৫ টাকা ৯৫ পয়সা। এতে মোট ব্যয় হবে ২০৪ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এদিকে দুই দেশ থেকে এক লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া ও পটাশ সার কিনবে সরকার। ৮৫৩ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ৮৯৯ টাকায় আরব আমিরাত এবং কানাডা থেকে ইউরিয়া ও পটাশ সার কেনা হবে। এছাড়া ৭৩ কোটি ৮৫ হাজার ৪০০ টাকায় ১০ হাজার টন ফসফরিক এসিডও কিনবে সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান জানান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৬৩ কোটি ৭৫ লাখ ৫৯ হাজার ৯৬৯ টাকা।
এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে দশম লটে ৫০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে তিন কোটি ২৭ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩৪৪ কোটি ৯০ লাখ ৬০ হাজার ৪৬৫ টাকা।
তিনি আরও জানান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে ১১তম লটে ৫০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে তিন কোটি ২৭ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩৪৪ কোটি ৯০ লাখ ৬০ হাজার ৪৬৫ টাকা। সাঈদ মাহবুব খান জানান, সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের মাধ্যমে চট্টগ্রামের টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডের (টিএসপিসিএল) জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চীনের গুইঝো চানেন কেমিক্যাল করপোরেশন (স্থানীয় প্রতিনিধি: বেস্ট ইস্টার্ন, ঢাকা) এই ফসফরিক এসিড নেয়া হবে। এজন্য ব্যয় হবে ৭৩ কোটি ৮৫ হাজার ৪০০ টাকা।