৩০০ কোটি টাকার কুপন বন্ড ছাড়বে ইফাদ অটোস

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ইফাদ অটোস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৩০০ কোটি টাকার সম্পূর্ণ পরিশোধযোগ্য নন-কনভার্টেবল কুপন বিয়ারিং বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, ইফাদ অটোস লিমিটেড সম্পূর্ণ পরিশোধযোগ্য ‘ইফাদ অটোস কুপন বিয়ারিং বন্ড’ নামে কুপন বন্ড ছেড়ে ৩০০ কোটি টাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ও বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন সাপেক্ষে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতীত) দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৫৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩৯ টাকা ১৮ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১০ টাকা ৫১ পয়সা (লোকসান)। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১২ ডিসেম্বর বেলা ১২টায় রাজধানীর ধামরাইয়ে অবস্থিত ইফাদ অটোস লিমিটেডের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৫১ পয়সা, আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৫৭ পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩৯ টাকা ৬৮ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ৩৯ টাকা ১৮ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে এক টাকা ২১ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় তিন টাকা ৩৭ পয়সা (লোকসান) ছিল।

এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই দশমিক ৮৩ শতাংশ বা এক টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪০ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৪০ টাকা। ওইদিন কোম্পানিটির এক কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে তিন লাখ ২৩ হাজার ৩৯০টি শেয়ার মোট ৬০৯ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩৮ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪১ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৩৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১১৫ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।

প্রকৌশল খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০ জুন ২০১৮ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২২ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) চার শতাংশ বা ২৭ পয়সা বেড়েছে। ওই সময় ইপিএস করে সাত টাকা এক পয়সা, যা তার আগের বছর একই সময় ছিল ছয় টাকা ৭৪ পয়সা। তবে শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ৩৬ পয়সা কমেছে। ৩০ জুন ২০১৮ তারিখে এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ২৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৮ টাকা ৬১ পয়সা। আর ওই সময় মুনাফা করেছে ১৫৫ কোটি ৩৯ লাখ ১০ হাজার টাকা, যা তার আগের বছর একই সময় ছিল ১০৪ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার টাকা।  

৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৪৭ কোটি ৯৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ২৪ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার ৬০০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৬২ দশমিক ৭৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২০ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে চার দশমিক ৩৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১২ দশমিক ৭৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত পাঁচ দশমিক ৭১ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৯ দশমিক ৬১।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০