নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:বিদেশ থেকে বন্দরে আসা আমদানি করা কনটেইনারবাহী কাঁচামাল, ইস্পাতশিল্পের উৎপাদিত রডসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য বহনে সারা দেশে নিয়োজিত আছে সাত হাজার ৮৫০টি প্রাইম মুভার। এর মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার চালকের যোগ্যতা থাকার পরও নেই ভারী শ্রেণির লাইন্সেস। ফলে প্রতিনিয়ত পুলিশি হয়রানি, চাঁদাবাজি ও মামলার শিকার হচ্ছেন চালকরা। এ ধরনের হয়রানি থেকে বাঁচতে সরাসরি পরীক্ষা নিয়ে ভারী শ্রেণির লাইসেন্স দেওয়ার দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ট্রেইলার শ্রমিক ইউনিয়ন। অন্যথায় আগামি ৩০ জানুয়ারি ২৪ ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রাইম মুভার ট্রেইলার চালক ও সহযোগীসহ সব পরিবহন শ্রমিকের নিয়োগপত্র ও ছবিসহ পরিচয়পত্র দেওয়ারও দাবি জানিয়ে চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ট্রেইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু বক্কর ছিদ্দিকী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিআরটিএ কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন করা চট্টমেট্রো-ঢ-৮১ ক্রমিকে চার হাজার, চট্টমেট্রো-ই-৮১ ক্রমিকে এক হাজার ৬০০-সহ সারা দেশে সাত হাজার ৮৫০টি প্রাইম মুভার ট্রেইলার রয়েছে। এ খাতে কর্মরত আছেন ১৫ হাজার ৭৮০ শ্রমিক। এসব গাড়ি চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক আমদানি-রপ্তানির কনটেইনার ও মেগা প্রকল্পের ভারী যন্ত্রপাতি ও পণ্য বিভিন্ন বেসরকারি আইসিডি ও বড় কারখানায় আনা-নেওয়া করে। এসব প্রাইম মুভার চালকের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ চালকদের হালকা ও মধ্যম শ্রেণির লাইসেন্স রয়েছে। তারা পাঁচ-সাত বছর ও ১০-১২ বছর গাড়ি চালালেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও দুর্নীতির কারণে ভারী শ্রেণির লাইসেন্স পাচ্ছেন না। ফলে প্রতিনিয়ত পুলিশি হয়রানি, চাঁদাবাজি ও মামলার শিকার হচ্ছেন।
মো. আবু বক্কর ছিদ্দিকী বলেন, ২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি বিআরটিএ চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে এক সভায় হালকা বা মধ্যম শ্রেণির লাইসেন্সধারী প্রাইম মুভার চালকদের তিন বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে প্রাইম মুভার মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে তালিকা দিলে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ৪৫০ চালকের তালিকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৬৮ জনের পরীক্ষা নিয়ে ২০১৯ সালের এপ্রিলে লাইসেন্স দেওয়া হয়। এরপর ২০১৯ সালের আগস্টে ২৮২ জনের লাইসেন্সের জন্য আবার আবেদন করা হয়।