Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 11:00 am

৩১ জুলাই পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব মাশুল ছাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক: নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকট বিবেচনায় আবাসিক গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিলে বিলম্ব মাশুল মওকুফের মেয়াদ ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

এর আগে মহামারির কারণে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে জুন মাস পর্যন্ত বিদ্যুতের আবাসিক গ্রাহকদের বিল পরিশোধে পাঁচ শতাংশ বিলম্ব ফি মওকুফ করা হয়। সময় বাড়ানোর ফলে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত পাঁচ শতাংশ বিলম্ব মাশুল ছাড়াই বিল পরিশোধের সুযোগ পাচ্ছেন গ্রাহকরা।

এদিকে সরকার বিলম্ব মাশুল মওকুফের ঘোষণা দিলেও চার মাস ধরে অস্বাভাবিক পরিমাণে বেশি বিল আসছে বলে অনেক গ্রাহক অভিযোগ করেছেন। বিতরণ সংস্থাগুলো এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে ভুল সংশোধনের উদ্যোগও নিয়েছেন।

লকডাউন ও মহামারির মধ্যে মিটার না দেখে অনুমাননির্ভর বিল তৈরি করায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে তখন জানিয়েছিল বিতরণ সংস্থাগুলো। গত মে মাস থেকে ঢাকার দুই বিতরণ সংস্থা ডেসকো ও ডিপিডিসি মিটার দেখে বিল তৈরি করছে বলে দাবি করলেও এ সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত বিল হাতে পাওয়ার দাবি করছেন অনেক গ্রাহক। তবে এসব দাপ্তরিক ভুলগুলোকে রুটিন কাজের অংশ হিসেবে সংশোধন করে দেওয়া হবে বলে দুই সংস্থার শীর্ষ ব্যক্তিরা আশ্বস্ত করেছেন।

গত ৫ জুলাই বিদ্যুতের সব বিতরণ সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিদ্যুৎ সচিব সুলতান আহমেদ।

সেখানে সাংবাদিকরা জুন মাসেও বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিল আসার অভিযোগের কথা জানালে সচিব বলেন, এসব ভুলের কারণে কোনো গ্রাহককে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হবে না। প্রয়োজনে বিলম্ব মাশুল মওকুফের সময় বাড়ানো যায় কি না, সরকার সেটাও চিন্তা করছে। ফলে কারও কোনো অসুবিধা হবে না। এ সময়ের মধ্যে ভুল সংশোধন করা যাবে।

ঢাকার মিরপুরের পীরেরবাগ এলাকার বাড়িমালিক ইকবাল হোসেন অভিযোগ করেন, লকডাউনের মধ্যে মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে স্বাভাবিক নিয়মে বিদ্যুৎ বিল এলেও জুন মাসে স্বাভাবিক বিলের চেয়ে তিনগুণ বাড়িয়ে বিল করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি সংশোধনের জন্য বিদ্যুৎ অফিসে গেলে তারা সংশোধন করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।