নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৯৯১ সালের মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আইনের অধীনেই ভ্যাট ব্যবস্থাকে ডিজিটাইজ করার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত জুনে ২০১২ সালের নতুন আইন বাস্তবায়ন পিছিয়ে যাওয়ার পর এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি। গত বুধবার পাঠানো গণবিজ্ঞপ্তিতে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই অনলাইনে নিবন্ধন করে নয় অঙ্কের বিআইএন সংগ্রহের জন্য করদাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
সূত্রমতে, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই নতুন ভ্যাট আইনের অধীনে অনলাইনে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করে এনবিআর। গত ১ জুলাই থেকে নতুন আইন অনুযায়ী ভ্যাট আহরণ করার কথা ছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন দুবছর পিছিয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে পুরোনো আইনে ভ্যাট আদায় প্রক্রিয়া ডিজিটাইজ করার নীতি গ্রহণ করা হয়। তারই আলোকে এবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে এনবিআর।
এনবিআরের গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজস্ব আহরণে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও শৃঙ্খলা আনতে ডিজিটাল ভ্যাট নিবন্ধন আবশ্যক। এজন্য চলতি বছরের ২৩ মার্চ থেকে অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন শুরু হয়। এর আওতায় নিবন্ধিত করদাতাদের নয় সংখ্যার একটি ব্যবসায় শনাক্তকরণ নম্বর (বিআইএন) দেওয়া হচ্ছে। এর আগে পুরোনো ভ্যাট আইনের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ১১ সংখ্যার বিআইএন নম্বর দেওয়া হতো।
নির্দেশনায় বলা হয়, যে সব করদাতা এখনও অনলাইন নিবন্ধন সম্পন্ন করেননি তারা আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অনলাইনে নয় সংখ্যার বিআইএন নম্বর গ্রহণ করবেন। তবে ওই সময় পর্যন্ত ১১ সংখ্যার বিআইএন নম্বর কার্যকর থাকবে। যেসব প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে ৯ সংখ্যার বিআইএন নম্বর গ্রহণ করেছেন তারা ভ্যাট প্রদানের ক্ষেত্রে সেটা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে অনলাইনে নয় সংখ্যার ভ্যাট নিবন্ধন কোনোভাবেই নতুন ভ্যাট আইনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় বলে স্পষ্ট করা হয়েছে। একই প্রতিষ্ঠানের একাধিক ইউনিটের জন্য আলাদা আলাদা বিআইএন নম্বর গ্রহণের জন্যও নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
সংস্থাটির বক্তব্য হলো, বিদ্যমান সনাতনী ভ্যাট ব্যবস্থায় প্রায় সাড়ে আট লাখ বিআইএনধারী বাবসায়ী রয়েছে। এর মধ্যে ৩৭ হাজার করদাতা নিয়মিত দাখিলপত্র প্রদান করেন। ফলে অনেক নিবন্ধিত করদাতা বস্তুত অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে। আবার অনেকে ব্যবসা চলমান থাকার পরও নিয়মিত রিটার্ন দাখিল না করে করজালের বাইরে থাকছেন। অনলাইন নিবন্ধনের মাধ্যমে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ও নিবন্ধন গ্রহণের প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, দ্রুততর ও হয়রানিমুক্ত করা সম্ভব হবে।