Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 1:28 pm

৩১ মার্চের পর অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক: যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগ আছে, ৩১ মার্চের পর তাদের বিরুদ্ধে সরকার হার্ডলাইনে যাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারি সহায়তার শেষ তারিখ হলো ৩১ মার্চ। এর মধ্যে যদি তারা সাহায্যের জন্য আসে তাহলে আমরা তাদের সর্বাত্মক সাহায্য করব। একই সঙ্গে তাদের ব্যাংকিং সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। কিন্তু এরপর আমরা আর তাদের বাইরে দেখতে চাই না। তাদের জেলের ভেতর দেখতে চাই। গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসএসএল গেটওয়ে পেমেন্টে দালাল প্লাসের গ্রাহকদের আটকে থাকা টাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, সার্বিকভাবে আমার যেটা মনে হয়, ই-কমার্সের যে অস্থির অবস্থা, সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে আমরা বেরিয়ে আসছি। কিন্তু একটা জিনিস বলতে চাই। যারা এখানে বিনিয়োগ করেছে তাদের বলতে চাই, অনেকেই ধৈর্য হারা হয়ে গেছেন, ধৈর্য হারা হলেই যে ১০ দিনের মধ্যে ঠিক করে দেব, বিষয়টা এত সহজ নয়। এখানে অনেক জটিলতা রয়েছে। যেমন কিছু টাকা দেশের বাইরে চলে গেছে, সে টাকা ফেরত আনতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন।

তিনি বলেন, কিছু টাকা এসএসএল, হস্টার বা অন্য পেমেন্ট গেটওয়েতে আছে। তার চেয়ে গ্রাহকদের দাবি অনেক অনেক বেশি। সে ক্ষেত্রে কিছু প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসছে তাদের নিজস্ব কিছু সম্পত্তি দিয়ে সমন্বয় করার চেষ্টা করছে। আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যে টিম কাজ করছে তাদের মূল ফোকাস হচ্ছে, আমরা এদের রিহ্যাব করতে চাই। তারা যাতে ব্যবসায় ফেরত আসতে পারে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সরকার আসলে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে সাপোর্ট করতে চায় উল্লেখ করে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘তাদের এ সাপোর্টটা গ্রহণ করা দরকার। গ্রাহকদের যে টাকা আটকে আছে, সেটা ফেরত দিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। সেটা নিয়েই আমরা কাজ করছি। তবে এ কাজের একটা শেষ আছে। আমরা সারা বছর এ কাজ করতে পারব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘৩১ মার্চের মধ্যে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান কোনোভাবে যোগাযোগ না করে বা তাদের প্রতিনিধি যদি এখানে পজিটিভভাবে না আসে, সে ক্ষেত্রে আমাদের পরিকল্পনা আছে ৩১ মার্চের পর তাদের বাংলাদেশে লুকিয়ে থাকবে, এটা আমরা চাই না। তারা পালিয়ে যাবে সেটা ভিন্ন বিষয়। অথবা তারা জেলের মধ্যে থাকবে। আমরা হার্ডলাইনে যাব ৩১ মার্চের পর। যারা আমাদের আহ্বানে সাড়া দেবে, আমাদের কাছে সাহায্য চাইবে, তাদের আমরা আইনানুগ সাহায্যের চেষ্টা করব। কিন্তু দেশের ভেতর থেকে লুকোচুরি করবে, সেটা হবে না।’