নিজস্ব প্রতিবেদক: একদিনে আরও ৪৫ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৩৮৮ জন। গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ২৪৩ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৩৫ জনে।
আইইডিসিআরের অনুমিত হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মধ্যে আরও দুই হাজার ৭৮১ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৯৪৫ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা শুক্রবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এ সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তার ১০ দিনের মাথায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। ১৮ জুন দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যায়।
নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ, ১৩ জন নারী। তাদের ৩১ জন হাসপাতালে, ১৪ জন বাড়িতে মারা গেছেন। তাদের ২১ জন ঢাকা বিভাগের, ১৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, দুজন খুলনা বিভাগের, দুজন রাজশাহী বিভাগের, একজন বরিশাল বিভাগের, একজন সিলেট বিভাগের, চারজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
মৃত্যু ৪৫ জনের মধ্যে তিনজনের বয়স ৮০ বছরের বেশি। এছাড়া চারজনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ১১ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১০ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, চারজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, তিনজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের এবং একজনের বয়স ছিল ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬১টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৪৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৬৯ শতাংশ, মৃতের হার এক দশমিক ৩২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে আনা হয়েছে ৬৮৪ জনকে। বর্তমানে সারা দেশে আইসোলেশনে রয়েছেন ১১ হাজার ৪৭৪ জন রোগী।
