নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) উদ্যোগে নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৩টি খাদ্য স্থাপনাকে গ্রেডিং দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৪০টি প্রতিষ্ঠানকে রিগ্রেডিং (পুনরায় গ্রেডিং) স্টিকার দেয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিএফএসএ’র প্রশিক্ষণ কক্ষে অনুষ্ঠিত গ্রেডিং প্রদান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএফএসএ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার।
তিনি বলেন, পর্যটন বিকাশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো খাদ্যের মান। কোনো পর্যটক যখন কোথাও যান, তখন তিনি যেন এসব গ্রেডিং স্টিকার দেখে একটা সমর্থন পান।
অনুষ্ঠানের সভাপতি বিএফএসএ সদস্য শাহনওয়াজ দিলরুবা খান বলেন, যারা কম গ্রেড পেয়েছে, তাদের ৪৫ দিন সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেড উন্নীত করার আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা দক্ষিণ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বিপু বিভিন্ন সরকারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিএফএসএ’র যাত্রা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১৫০টি খাদ্য স্থাপনাকে গ্রেডিং স্টিকার দেয়া হয় এবং ৭১টি খাদ্য স্থাপনাকে রিগ্রেডিং করা হয়। এর মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫৮টি, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩০টি, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩০টি এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৩টি খাদ্য স্থাপনাকে গ্রেডিং স্টিকার দেয়া হয়েছে।
বিএফএসএ ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে হোটেল রেস্তোরাঁকে বিশেষ মূল্যায়নের ভিত্তিতে গ্রেডিং স্টিকার দেয়া শুরু করে। ‘এ+’, ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’ ক্যাটাগরির ভিত্তিতে গ্রেডিং স্টিকার বিতরণ করা হয়। ৯০ বা তার বেশি নম্বর পেলে ‘এ+’, ৮০-৮৯ নম্বর পেলে ‘এ’, ৭০-৭৯ পেলে ‘বি’ এবং ৭০ এর নিচে পেলে ‘সি’ গ্রেড দেয়া হয়।
খাদ্য স্থাপনার পরিবেশ, প্রশাসনিক বিষয়, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, খাবার সংরক্ষণ ও মজুত এবং ভোক্তার সঙ্গে আচরণ; এসব বিষয় বিবেচনা করে গ্রেডিং স্টিকার দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে মনিটরিং ও খাদ্য স্থাপনা পরিদর্শনের সুবিধার্থে বিএফএসএ’র নিজস্ব পোশাক চালু করা হয়েছে। জলপাই রঙের এই পোশাক পরিধান করে এখন থেকে খাদ্য স্থাপনা পরিদর্শন করা হবে।
