ক্রীড়া ডেস্ক: বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা। গত পরশুও সেটাই দেখা গেল পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের তৃতীয় ওয়ানডেতে। যেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে ইমাম-উল-হকের (১৫২) দৃঢ়তায় পাকিস্তান তোলে ৩৫৮ রান। কিন্তু তাতে কী? ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো আর জেসন রয়ের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের কাছে অনেকটা অসহায় হয়েই ৬ উইকেটে হেরেছে সরফরাজ আহমেদের দল। এর ফলে ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। সিরিজর প্রথম ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল।
ব্রিস্টলে গত পরশু টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ক্রিস ওকসের ছোবলে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ফখর জামানকে বিদায় করার পর বাবর আজমের উইকেট তুলে নেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ইমাম-উল-হক খেলেন দুর্দান্ত। হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ ও আসিফ আলিদের সঙ্গে এ বাঁহাতি গড়ে তোলেন তিনটি হাফ সেঞ্চুরি-ঊর্ধ্ব জুটি। তাতেই পাকিস্তান পেয়ে যায় বড় সংগ্রহের ভিত। শেষদিকে ইমাম ১৩১ বলে ১৬ চার ও এক ছয়ে ১৫১ রান করে ফেরেন। পরে হাসান আলি, ইমাদ ওয়াসিমদের ঝড়ো ইনিংসে পাকরা পেয়ে যায় ৯ উইকেটে ৩৫৮ রানের পাহাড়সম স্কোর।
৬৭ রানে চার উইকেট নেন ওকস। টম কারান ২ উইকেট নেন ৭৪ রানে।
বড় লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে ইংল্যান্ডে উড়ন্ত শুরু এনে দেন জেসন রয় ও বেয়ারস্টো। তারা গড়েন ১০৫ বলে ১৫৯ রানের জুটি। এরপরই ৫৫ বলে আট চার ও এক ছয়ে ৭৬ রানে ফেরেন রয়। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে জো রুটকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন বেয়ারস্টো। ৩৬ বলে ৫০ ছোঁয়া এ ওপেনার ৭৪ বলে তুলে নেন সপ্তম সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত জুনাইদ খানের স্টাম্পের বাইরের বল টেনে এনে বোল্ড হয়ে থামেন তিনি। তার আগে এ ডানহাতির ব্যাট থেকে আসে ৯৩ বলে ১২৮ রান। ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৫ চার ও ৫ ছয়ে।
বেয়ারস্টো ফেরার পর ৩৬ বলে ৪৩ রান করা রুটকে তুলে নেন ইমাদ ওয়াসিম। এদিকে ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি পেয়ে স্টোকস চারে আর পাঁচে নামেন মইন আলি। দুই বাঁহাতি গড়েন ৪৬ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত স্টোকসের রান আউটে তাদের জুটি বিচ্ছন্ন হয়। এরপর জয়ের বাকি কাজটা অধিনায়ক ইয়ন মরগানকে নিয়ে খুব সহজেই সারেন মইন। ৩৬ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত ছিলেন মইন। অন্য প্রান্তে ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মরগান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ৩৫৮/৯ (ইমাম ১৫১, ফখর ২, বাবর ১৫, হারিস ৪১, সরফরাজ ২৭, আসিফ ৫২, ওয়াসিম ২২, আশরাফি ১৩, হাসান ১৮*, আফ্রিদি ৭, জুনাইদ ০*; ওকস ৪/৬৭, উইলি ১/৮৬, মইন ০/৩২, প্লানকেট ১/৫৫, কারান ২/৭৪, স্টোকস ০/৩৪, ডেনলি ০/৯)।
ইংল্যান্ড: ৪৪.৫ ওভারে ৩৫৯/৪ (রয় ৭৬, বেয়ারস্টো ১২৮, রুট ৪৩, স্টোকস ৩৭, মইন ৪৮*, মরগান ১৭*; জুনাইদ ১/৫৭, আফ্রিদি ০/৮৩, হাসান ০/৫৫, ওয়াসিম ১/৫৮, আশরাফ ১/৭৫, হারিস ০/১৯, আসিফ ০/৯)।
ফল: ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: জনি বেয়ারস্টো।