নিজস্ব প্রতিবেদক: ৩৬তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে দুই হাজার ৩২৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এছাড়া আরও তিন হাজার ৩০৮ জনকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে চ‚ড়ান্ত ফল প্রকাশের সময় কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ৩৬তম বিসিএসের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় মোট পাঁচ হাজার ৬৩১ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন পাঁচ হাজার ৯৯০ জন।
তিনি বলেন, দুই হাজার ৩২৩ জনের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৯২ জন, পুলিশে ১১৭ জন, ট্যাক্সে ৪২ জন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২০ জন, স্বাস্থ্যে ১৮৭ জন, কৃষিতে ৩২২ জন এবং বিভিন্ন শিক্ষা ক্যাডারে ৯৯৬ জনসহ অন্যান্য ক্যাডারে বাকিরা নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। কিন্তু পদস্বল্পতার জন্য দুই হাজার ৩২৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করে বাকিদের নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য রাখা হয়েছে।
তাদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার লক্ষ্যে আমি প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। আগামী সপ্তাহে ৩৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফলও প্রকাশ করা হবে বলে জানান কমিশন চেয়ারম্যান।
বিসিএসের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পান না, তাদের মধ্য থেকে ফলাফলের ভিত্তিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীকে সম্মতি জানিয়ে কমিশনে আবেদন করতে হয়।
৩৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারিতে দুই লাখ ১১ হাজার ৩২৬ চাকরিপ্রার্থী অংশ নেন। তাদের মধ্যে ১৩ হাজার ৮৩০ জনকে লিখিত পরীক্ষার জন্য মনোনীত করা হয়। ২০১৫ সালের ৩১ মে ৩৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। সেখানে বিভিন্ন ক্যাডারে প্রথম শ্রেণির দুই হাজার ১৮০টি গেজেটেড কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।