৩৯ দিনে ৮৬ চালান পণ্য রপ্তানি মেসেজ পেয়েও চুপ প্রতিষ্ঠান

রহমত রহমান: ৮৬টি চালানে মাত্র ৩৯ দিনে রপ্তানি হয়েছে ৯৯৭ মেট্রিক টন গার্মেন্ট পণ্য। যেকোনো রপ্তানি চালান অ্যাসাইকুডা সিস্টেমে এন্ট্রি করার সঙ্গে সঙ্গে রপ্তানিকারকের মোবাইলে সিস্টেম থেকে ‘মেসেজ অটো জেনারেট’ হয়। এই রপ্তানিকারক ৮৬টি বিল অব এক্সপোর্ট এন্ট্রি করার সঙ্গে সঙ্গে মেসেজ অটো জেনারেট হয়েছে। কিন্তু জালিয়াতি প্রকাশ পাওয়ার পর রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বলছে তারা কোনো মেসেজ পায়নি। কিন্তু তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সহায়তায় জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করেছে, যাতে জাল কাগজপত্র ব্যবহার করা হয়েছে। জালিয়াতির মাধ্যমে শতভাগ রপ্তানিমুখী বন্ডেড প্রতিষ্ঠানের সুবিধা ব্যবহার করেছে প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি অ্যাসাইকুডা সিস্টেমে জালিয়াতি করেছে।

কিন্তু শুল্কায়ন ও পরীক্ষণের দায়িত্বে থাকা কাস্টমস কর্মকর্তারা জেনেও অজানা কারণে চুপ ছিলেন। জালিয়াতি করে প্রতিষ্ঠান ৮৬টি চালানে ২০ লাখ ২৭ হাজার ৩৩৭ ডলার বা ২১ কোটি ৪৮ লাখ টাকার পণ্য রপ্তানি করেছে, যা দেশে ফেরত আসার সুযোগ নেই। সাবিহা সাইকি ফ্যাশন নামে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানের রপ্তানির ক্ষেত্রে জালিয়াতি নিয়ে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। রপ্তানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা ও জড়িত কাস্টমস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে। সম্প্রতি কাস্টমস গোয়েন্দা থেকে এনবিআরে এ প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে সাবিহা সাইকি ফ্যাশন কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা কোনো পণ্য রপ্তানি করেনি। তাদের নাম দিয়ে জালিয়াত চক্র পণ্য রপ্তানি করে তাদের ফাঁসিয়ে দিয়েছে। সাবিহা সাইকির তথ্যের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা এসব পণ্য আটক করেছে।

কাস্টমস গোয়েন্দা সূত্রমতে, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি চট্টগ্রামের উত্তর পতেঙ্গার এসএপিএল (ওসিএল) কনটেইনার ডিপোয় অভিযান পরিচালনা করে কাস্টমস গোয়েন্দা চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের একটি দল। তথ্য ছিল সাবিহা সাইকি ফ্যাশন ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানি করেছে। কিন্তু রপ্তানির অর্থ দেশে আসেনি। অভিযানে জালিয়াতির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায় এবং সেখান থেকে সাতটি ৪০ ফুট কনটেইনার আটক করা হয়। পরে কনটেইনার থেকে ১১৮ টন পণ্য জব্দ করা হয়, যাতে টি-শার্ট ও নারীদের পোশাক রপ্তানির ঘোষণা থাকলেও শিশুদের পোশাক, জিন্স প্যান্ট, শার্ট, লেগিন্স, শালসহ ঘোষণাবহির্ভূত অনেক পণ্য পাওয়া যায়। এ প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম তদন্তে আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। সাবিহা সাইকি ফ্যাশনের রপ্তানিতে অনিয়ম তদন্ত করতে গিয়ে আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানের একই অনিয়ম পায় তদন্ত দল। পরে সাবিহা সাইকির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেয়া হয়।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সাবিহা সাইকি ফ্যাশন বিভিন্ন সময় মোট ৮৬টি চালানের মাধ্যমে ৯৯৭ মেট্রিক টন পণ্য রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে রয়েছেÑমেনস ট্রাউজার, টি-শার্ট, বেবি সেট, ব্যাগ, পোলো শার্ট, জ্যাকেট, প্যান্ট ও হুডি। সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব ও নাইজেরিয়ায় রপ্তানি করা হয়েছে। এ পণ্যের রপ্তানি মূল্য ২০ লাখ ২৭ হাজার ৩৩৭ ডলার বা ২১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। রপ্তানিতে ব্যবহার করা ইএক্সপি অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড ও ব্যাংক থেকে যাচাই করা হয়। ব্যাংক থেকে বলা হয়েছে, রপ্তানিকারক সাবিহা সাইকি অন্য রপ্তানিকারকের ইএক্সপি ব্যবহার করেছেন, যার কারণে রপ্তানির অর্থ দেশে আসেনি। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ৮৬টি বিল অব এক্সপোর্টে উল্লেখ করা ইএক্সপি এ প্রতিষ্ঠানের নামে নয়, ভিন্ন আমদানিকারকের অনুকূলে ইস্যু করা। বিল অব এক্সপোর্টে প্রতিষ্ঠানটি কোড-২০ ব্যবহার করেছে, যা শুল্কমুক্ত সুবিধার পণ্য রপ্তানির কোড। জাল ইএক্সপি ব্যবহার করায় অ্যাসাইকুডায় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিন নম্বরের সঙ্গে অটো মিল হয়নি।

কাস্টমস গোয়েন্দার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিল অব এন্ট্রির প্রারম্ভিক নোটিংয়ের সময় আমদানি বা রপ্তানিকারকের মোবাইল ফোন নম্বরে অ্যাসাইকুডা সিস্টেম থেকে ‘মেসেজ অটো জেনারেট’ হয়। শুল্কায়ন ও শুল্ককর পরিশোধিত হওয়ার পর আবার সিস্টেম থেকে ‘মেসেজ অটো জেনারেট’ হওয়ার কথা। এ রপ্তানিকারকের ৮৬টি বিল অব এক্সপোর্ট নোটিং ও শুল্কায়ন শেষে একই ম্যাসেজ অটো জেনারেট হয়েছে। ৮৬টি বিল অব এক্সপোর্টের মধ্যে প্রথম বিল অব এক্সপোর্ট ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর ও শেষ বিল অব এক্সপোর্ট হয় চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি। ২২ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৯ দিনে মোট ৮৬টি বিল অব এক্সপোর্ট শেষে রপ্তানিকারকের মোবাইল ফোনে অ্যাসাইকুডা সিস্টেম থেকে মেসেজ অটো জেনারেট হলেও রপ্তানিকারক কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে চুপ ছিল। তবে ৮৬টি বিল অব এক্সপোর্টের মধ্যে ২৫টি বিল অব এক্সপোর্টের পণ্য রপ্তানি করেনি বলে উল্লেখ করে ৩১ জানুয়ারি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। ৩১ ডিসেম্বর কাস্টমস গোয়েন্দার চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এসএপিএল ডিপোয় অভিযান চালিয়ে রপ্তানিকারক সাবিহা সাইকি ফ্যাশনের রপ্তানি চালান স্থগিত করে। মূলত আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কাস্টমস গোয়েন্দার অভিযান টের পেয়ে সাধারণ ডায়েরি করে। এতে প্রমাণ হয়, এ জালিয়াতির সঙ্গে প্রতিষ্ঠান সরাসরি জড়িত।

অপরদিকে জালিয়াতি করে রপ্তানি করা ৮৬টি চালানের শুল্কায়নের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে প্রাপ্ত বিল অব এক্সপোর্ট ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছে দাখিল করা বিল অব এক্সপোর্টে ভিন্নতা রয়েছে। এরপরও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তরা বিল অব এক্সপোর্ট ‘রি-রাউট টু’ গ্রিন করেছেন। বিল অব এক্সপোর্ট ও ইএক্সপি অ্যাসাইকুডায় যাচাইয়ের সুযোগ ছিল। কিন্তু শুল্কায়ন ও পরীক্ষণের দায়িত্বে থাকা কাস্টমস কর্মকর্তারা তা যাচাই করেননি, যা তাদের অজ্ঞতা বা দায়িত্ব অবহেলার শামিল। বিল অব এক্সপোর্টের ফিল্ড-৫৬-তে ‘নেম অব অথরাইজেশন পার্সন’-এ লাইমেক্স শিপার্স লিমিটেডের কাস্টমস সরকার মো. রাসেলের নাম রয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স হতে দেখা যায়, রাসেল নামে কোনো কাস্টমস সরকার নেই। এক্ষেত্রেও রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট যোগসাজশে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিল অব এক্সপোর্টের ক্ষেত্রে নমুনা বা বিশেষ কোনো রপ্তানির ক্ষেত্রে ‘ফিল্ড-২৪’-এ কোড ২০ ব্যবহƒত হয়। রপ্তানিকারক সাবিহা সাইকি ফ্যাশন ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত চট্টগ্রামের এসএপিএল ডিপোর মাধ্যমে ৯৪টি বিল অব এক্সপোর্টের মধ্যে ৮৬টি বিল অব এক্সপোর্টে ফিল্ড-২৪-এ কোড ২০ ব্যবহƒত হয়েছে। বিল অব এক্সপোর্টের ক্ষেত্রে ফিল্ড-২৪-এ কোড ২০ ব্যবহার করলে ইএক্সপির বাধ্যবাধকতা নেই। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ৮৬টি বিল অব এক্সপোর্টে ইএক্সপিগুলো ভিন্ন রপ্তানিকারকের নামে ইস্যু করা। যেহেতু একটি ইএক্সপি একাধিক বিল অব এক্সপোর্টে ব্যবহারের সুযোগ নেই, সেহেতু এই ৮৬টি বিল অব এক্সপোর্টে ভিন্ন রপ্তানিকারকের ইএক্সপি ব্যবহার করা হলেও ফিল্ড-২৪-এ কোড ২০ ব্যবহার করার কারণে ইএক্সপি ও বিল অব এক্সপোর্টে রপ্তানিকারকের তথ্য অটো ম্যাচ হয়নি। ফলে এ রপ্তানিকারকের রপ্তানি করা পণ্যের বৈদেশিক মুদ্রা ২০ লাখ ২৭ হাজার ৩৩৭ ডলার বা ২১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা দেশে প্রত্যাবাসিত বা আসার সুযোগ নেই। এছাড়া প্রতিষ্ঠান জালিয়াতির মাধ্যমে শতভাগ রপ্তানিমুখী বন্ডেড প্রতিষ্ঠানের সুবিধা ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে পণ্য রপ্তানি করেছে।

রপ্তানির আড়ালে এ ধরনের জালিয়াতি রোধে প্রতিবেদনে আটটি সুপারিশ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেÑরপ্তানির ক্ষেত্রে বিল অব এক্সপোর্টে এসএডি এর ফিল্ড-২৪-এ কোড-২.০ ব্যবহার করলে ইএক্সপির কার্যকারিতা থাকে না। অথবা ইএক্সপি আপলোডের প্রয়োজন হয় না বলে রপ্তানি মূল্য বৈধ পন্থায় দেশে আসার সুযোগ নেই। এ কোড ব্যবহার করে কোন কোন পণ্য কী পরিমাণে রপ্তানি করা যাবে, তার সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেয়া যেতে পারে। এছাড়া ফিল্ড-২৪-এ কোড-২.০ এবং ইএক্সপি উভয় ব্যবহার করলে অ্যাসাইকুডা সিস্টেমে ইএক্সপি ও বিল অব এক্সপোর্টে রপ্তানিকারকের বিআইএনসহ অন্যান্য তথ্য অটো ম্যাচ করার ব্যবস্থা করা, রপ্তানি পণ্য চালানে শতভাগ ইজিএম দাখিল বাধ্যতামূলক করা, জালিয়াতিতে জড়িত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লিম্যাক্স শিপিং লিমিটেডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া, রপ্তানিতে জালিয়াতি করায় সাবিহা সাইকি ফ্যাশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং অ্যাসাইকুডা সিস্টেমের ওপর কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া সাবিহা সাইকি ফ্যাশনের রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্কায়ন ও পরীক্ষণে জড়িত রাজস্ব কর্মকর্তা এসএম মহিউল ইসলাম, বিকাশ চন্দ্র দেবনাথ, মেজবাহ উদ্দিন, মো. শাহ আলম সরকার, মো. জাহিদ হোসেন, মো. মোতাহার উদ্দিন সিকদারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়।

প্রতিবেদনের বিষয়ে কাস্টমস গোয়েন্দার একজন কর্মকর্তা শেয়ার বিজকে বলেন, রপ্তানির ক্ষেত্রে ছোটখাটো জালিয়াতি হয়। কিন্তু সাবিহা সাইকি ফ্যাশন সব ক্ষেত্রে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে। বড় কথা হলো, জালিয়াতি করে রপ্তানি করা পণ্যের টাকা পাচার হয়ে গেছে। শুল্কায়ন ও পরীক্ষণের দায়িত্বে থাকা কাস্টমস কর্মকর্তারা কোনোভাবে দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তাÑসবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা এনবিআরকে সুপারিশ করেছি। একই সঙ্গে এ ধরনের জালিয়াতি বন্ধে আমরা কয়েকটি সুপারিশ করেছি।

অপরদিকে সাবিহা সাইকি ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিল আহমেদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি শেয়ার বিজকে বলেন, আমার কাছে বিডি কাস্টমস থেকে মেসেজ আসত। আমি মেসেজ দেখিনি। যখন দেখেছি সঙ্গে সঙ্গে কাস্টমসকে জানিয়েছি। ব্যাংকে মেইল দিয়েছি, জিডি করেছি যে, আমার প্রতিষ্ঠানের নামে পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ৩৯ দিন নয়, ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর মাত্র পাঁচ দিনে ৮৬টি চালান রপ্তানি হয়েছে। কাস্টমসকে আমি তথ্য দেয়ার পর এ পণ্য আটক করেছে। এর আগে ও পরে যে পণ্য রপ্তানি হয়েছে, তা আটকানো হয়নি। আমি তথ্য দিয়ে পণ্য আটক করিয়েছি, এখন আমাকে বলছে, আমি নাকি জালিয়াতি করেছি।

ক্ষোভ প্রকাশ করে শাকিল আহমেদ বলেন, ৮৬টি চালানের পণ্য স্যাম্পল মুডে রপ্তানি করা হয়েছে। স্যাম্পল ১০০ কেজি হতে পারে। ৪০ ফিটের কনটেইনার কীভাবে স্যাম্পল মুডে রপ্তানি হয়? তিনি বলেন, আমি ছোট ব্যবসায়ী। আমি ২০২০ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানি করে আসছি। এ কয়েক বছরে ৩৫-৩৬টি চালান রপ্তানি করেছি। কোনো চালান ১০০ ডলারের, কোনো চালান ২০০ ডলারের। আমার সব টাকা দেশে এসেছে। আর ৮৬টি চালান তো রপ্তানিই করিনি। অথচ কাস্টমস গোয়েন্দা বলছে, আমি ৮৬টি চালান রপ্তানি করেছি, যার মূল্য ২১ কোটি টাকা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০