শেয়ার বিজ ডেস্ক : দ্বীপরাষ্ট্র ফিলিপাইনে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় ‘তেমবিন’-এর আঘাতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের পর শপিংমলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে গত তিন দিনে দেশটিতে কমপক্ষে ২৩৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এসব ঘটনায় এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর বিবিসি। গত শুক্রবার ফিলিপাইনের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ মিন্দানাওয়ের তুবোদ শহরের কাছে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় তেমবিন আঘাত হানে। দেশটির আঞ্চলিক পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঝড়ের পর ভূমিধস ও বন্যায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২০০ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ফিলিপাইনের আবহাওয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় তেমবিন ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়োহাওয়া নিয়ে মিন্দানাও দ্বীপে আঘাত হানে। মিন্দানাও দ্বীপের তুবদ ও পিয়াগাপো শহর দুটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানকার অসংখ্য ঘরবাড়ি বোল্ডারের নিচে চাপা পড়ে আছে। সরকার লানাও দেল নর্টে ও লানাও দেল সার এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
দুর্যোগে উদ্ধার তৎপরতা এখনও অব্যাহত আছে। উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ সাধারণ মানুষ। তবে পাথুরে এলাকা হওয়ায় উদ্ধারকর্মীদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তাছাড়া প্রায় সব ধরনের যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
গত শনিবার ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দাভাওয়ে একটি শপিংমলে আগুন লেগে অন্তত ৩৭ জন নিহত হন। শহর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র তেরেসিতা গাসপানের মতে, মার্কেটটির তৃতীয় তলার একটি ফার্নিচারের দোকানে আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই তা ওপরতলার একটি আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে।
শনিবার রাতে প্রেসিডেন্ট দুতার্তে ও তার কন্যা দাভাওয়ের মেয়র সারা দুতার্তে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিখোঁজ ও বেঁচে যাওয়া লোকদের উদ্বিগ্ন স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।