মো. রুবাইয়াদ ইসলাম, হাবিপ্রবি (দিনাজপুর): দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা ৪০তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় অসাধারণ সফলতা অর্জন করেছে। মঙ্গলবার বিসিএস পরীক্ষার গেজেট প্রকাশিত হয়। এতে এক হাজার ২২৯ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশ করে পিএসসি। এর মধ্যে হাবিপ্রবি থেকে ৩৩ শিক্ষার্থী ক্যাডারভুক্ত হয়েছেন। এটি ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় বাংলাদেশের সব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষার্থীদের এমন অর্জনে খুশি বর্তমানে বিভিন্ন অনুষদে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা।
৪০তম বিসিএস পরীক্ষার প্রকাশিত গেজেট থেকে জানা যায়, প্রশাসন ক্যাডার পেয়েছেন হাবিপ্রবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের শিক্ষার্থী ফাহমিদা আক্তার। পুলিশ ক্যাডার হয়েছেন ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের শিক্ষার্থী মো. রুহুল আমিন লাবু। প্রাণিসম্পদ ক্যাডার হয়েছেন হাবিপ্রবির ১১ শিক্ষার্থী। প্রাণিসম্পদ ক্যাডারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেনÑমো. নোমান আলী, সজীব হাওলাদার, মোছা. হোসনে আরা খাতুন, ডা. মো. আব্দুল করিম, মো. নূরে-ই-আলম সিদ্দিক (নয়ন), মো. আখতারুজ্জামান লোটাস, মো. জাহেদুল ইসলাম জাহিদ, উৎপল রায়, মো. মেজবাবুল হোসেন, আরিফা পারভীন ও মো. সিরাজউদ্দিন।
কৃষি ক্যাডার হয়েছেন ১৪ শিক্ষার্থী। ওই ক্যাডারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেনÑমোছা. মোর্শেদা খাতুন, ফারিহা তিলাত নিলয়, দিলরুবা ইয়াসমিন লাকি, ইসরাত জাহান লিমা, হুমায়রা বিনতে আলী, শাহাজাহান আলী সরদার, মোছা. মাসকুরা খাতুন, মো. আ. ছালাম নীরব, সাবরিনা মুস্তারি মুমু, মো. হাসানুজ্জামান, মো. জহির রায়হান, মোছা. সাদিয়া সুলতানা, রুহুল আমিন সরকার ও মোসাদ্দেক লাভলু। এছাড়া মৎস্য ক্যাডার হয়েছেন কৌশিক সরকার (জিৎ) ও মো. মোকাররম হোসেন।
এছাড়া সমবায় ক্যাডার হয়েছেন কৃষি প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী তাঞ্জিমুন নাহিদ। শিক্ষা ক্যাডার হয়েছেন বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের শিক্ষার্থী মো. নজরুল ইসলাম শিমুল ও মো. গোলাম রাব্বানী এবং ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
চূড়ান্তভাবে মনোনীত হওয়া ফারিহা তিলাত নিলয় বলেন, ‘মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত ও কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়েছি। সবাই অনেক পরিশ্রম করেছে। কিন্তু অনেকের হয়তো ভাগ্য সহায় হয়নি। আল্লাহর রহমত আর বাবা-মায়ের দোয়ায় আজ এখানে আসতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ! আমার বাবা-মায়ের একটা বিশাল সাপোর্ট ছিল এই লম্বা পথ পাড়ি দিতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের সাহায্য ছাড়া আমার এতদূর আসা সম্ভব হতো না, বিশেষ করে আমার বাবার অনেক অবদান রয়েছে এ সাফল্যের পেছনে। তাদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। পাশাপাশি আমি আমার সম্মানিত শিক্ষক ও সহপাঠীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
কৌশিক সরকার বলেন, ‘২০১৮ সালে প্রকাশিত সার্কুলারের গেজেট হলো ২০২২ সালের ১ নভেম্বর। একটা স্বপ্নের জন্য অপেক্ষা আর ধৈর্যের এ সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে এমন কোনো বিসিএস ব্যাচ আছে বলে আমার জানা নেই! তাই গেজেটেড হওয়ার খবরটা আমার কাছে একটা অসাধারণ অনুভূতি, একইসঙ্গে স্বস্তিদায়ক, তৃপ্তিদায়ক ও স্বপ্ন পূরণের পাথেয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি আমার এ দীর্ঘ বিসিএস জার্নিতে যারা সহযোগিতা করেছেন, আমার চলার পথকে যারা সহজ করেছেন, সর্বোপরি আমার ওপর যারা বিশ্বাস রেখেছেন, তাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’