৪২ প্রজাতির আম

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় : দেশি-বিদেশি প্রায় ৪২ প্রজাতির আমের বাম্পার ফলন ঘটিয়েছেন আমচাষি ও আম গবেষক মেজর (অব.) মো. সোলায়মান। এলাকায় রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।
১৯৯২ সালের শুরুতে সোনাগাজী মুহুরী রেগুলেটর (মুহুরী প্রজেক্ট) সংলগ্ন থাক খোয়াজের লামছি এলাকায় একটি সমন্বিত খামার গড়ে তোলেন তিনি। প্রায় ৭০ একর জমিতে সোনাগাজী অ্যাগ্রো কমপ্লেক্স নামের ওই খামারের কাজ শুরু করেন। খামারের জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে মৎস্য চাষ, ডেইরি ফার্ম ও দেশি-বিদেশি নানা জাতের সবজি উৎপাদন করে সবার নজরে আসেন মেজর (অব.) সোলায়মান।
পরবর্তী সময়ে প্রকল্প এলাকার পুকুরপাড়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের আমের চাষ শুরু করেন। বর্তমানে প্রায় তিন হাজার গাছে আমের ফলন ঘটিয়েছেন সোলায়মান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দেশীয় প্রায় ২০ জাতের আমের পাশাপাশি ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের মিষ্টিমধুর আমের সফল ফলন ফলেছে এ বাগানে। এখানে দেশীয় প্রজাতির আমের মধ্যে রয়েছে মধুরানী, হাঁড়িভাঙ্গা, লেংড়া, মহানন্দা, গোপালভোগ, হিমসাগর, কালিয়া, কারমশি, মরিয়ম, আমরোপালি, বারী-১ থেকে ১১ পর্যন্ত। বিদেশি প্রজাতির পালমার, নামডগমাই (বেনানা), দেউরি, রুবি, আলপানসো, ডোসেী, ভেনিসন, মল্লিকা, রাঙ্গুয়াই, তোতাপুরি প্রভৃতি প্রজাতির আম।
মেজর (অব.) সোলায়মান জানান, আমি এ বাগানের গাছগুলোয় মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কোনো রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করি না। কীটনাশক ব্যবহার না করায় অনেক গাছের আম নষ্ট হয়ে গেছে। তবুও কীটনাশক স্প্রে করিনি। তিনি আরও জানান, এ বছর অনুক‚ল আবহাওয়ার কারণে আমের ফলন খুব ভালো হয়েছে। আশা করছি প্রায় ২৫ হাজার কেজি আম বিক্রি করতে পারব। এ বাগানে আমের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, নারিকেল, ড্রাগন, জামরুল প্রভৃতি ফলের চাষ করে সফল হয়েছেন তিনি।
সোনাগাজী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার জানান, আমরা চাষিদের প্রয়োজনানুযায়ী বিভিন্ন
সহযোগিতা দিয়ে থাকি।

শাহাদাত হোসেন তৌহিদ

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০