৪২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে সূচক

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে দরপতন চলমান। গত কয়েক কার্যদিবসের মতো গতকাল মঙ্গলবারও পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। শেষ তিন কার্যদিবসে  প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ১৬৭ পয়েন্ট। এর মাধ্যমে সূচকটি ৪২ মাস বা সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে গেছে। এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর সূচকটি ছিল ৫ হাজার ৬৯ পয়েন্টে।

গত কয়েক মাস ধরে পুঁজিবাজারে চলমান পতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে ক্যাপিটাল গেইনের ওপর ট্যাক্স আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের পর এখনও পর্যন্ত লেনদেন হওয়া তিন কার্যদিবসেই পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। এতে লেনদেনের শুরুতেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। তবে মাঝে কিছু সময়ের জন্য সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়। অবশ্য তা খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি, বরং লেনদেনের শেষদিকে পতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।

এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র ৫১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৩০৮টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩৫ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৭০ পয়েন্টে নেমে গেছে। এর মাধ্যমে ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বরের পর সূচকটি এখন সর্বনিম্ন অবস্থা বিরাজ করছে। ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর ডিএসইর প্রধান সূচক পাঁচ হাজার ৬৯ পয়েন্ট ছিল।

অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৯৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় আট পয়েন্ট কমে এক হাজার ৮০৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সূচক ৪২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে চলে গেলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৩১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩১৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১১২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বিকন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ৭২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ১৮ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছেÑ লাভেলো আইসক্রিম, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্র্যাক ব্যাংক, ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যারস এবং ওরিয়ন ফার্মা।

পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১০৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হওয়া ২১১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৩টির এবং ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১০৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আগের কর্যদিবসে লেনদেন হয় ২৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০