নিজস্ব প্রতিবেদক:সরকারি চাকরি পাওয়ার আশায় ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন চার লাখ প্রার্থী। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কেন্দ্রগুলোয় শুক্রবার সকাল ১০টায় এ পরীক্ষা শুরু হয়। আটটি বিভাগীয় শহরের ৩৬৯টি কেন্দ্রে বেলা ১২টা পর্যন্ত পরীক্ষা চলে।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সাধারণ বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি, গাণিতিক যুক্তি, মানসিক দক্ষতা, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন মিলিয়ে ২০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে প্রার্থীদের।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০০টি প্রশ্নের প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য এক নম্বরের বিপরীতে প্রতিটি ভুল উত্তরে কমবে শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর। বরাবরের মতোই বই, ব্যাগ, ঘড়ি, মোবাইল, ক্যালকুলেটর বা যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করায় নিষেধাজ্ঞা ছিল।
সরকারি কর্ম কমিশন আগেই হুশিয়ার করেছিল, এ ধরনের কিছু পাওয়া গেলে প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে কর্ম কমিশনের সব নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওই প্রার্থী অযোগ্য হবেন। বিভিন্ন ক্যাডারে এক হাজার ৮১৪ কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে গত বছরের ৩০ নভেম্বর ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেয় পিএসসি।
এর মধ্যে সাধারণ ক্যাডারে ৫৫০ জন, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৩১০ জন, সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সাধারণ কলেজে ৮৪৩ জন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজে ১২ জন এবং কারিগরি শিক্ষা ক্যাডারে ৯৯ জন নিয়োগ পাবেন।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর এই বিসিএসের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। পরে মহামারি পরিস্থিতিতে কয়েক দফা বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়। এবার চার লাখ ৩৫ হাজার ১৯০ প্রার্থী আবেদন করেছেন, যা বিসিএসের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আবেদনের রেকর্ড।