শেয়ার বিজ ডেস্ক : নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উত্তর কোরিয়াকে পণ্য পাচারে সহযোগিতা করায় নতুন করে ২৭টি জাহাজ, ২১টি জাহাজ কোম্পানি ও এক ব্যক্তিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। নতুন নিষেধাজ্ঞায় উত্তর কোরিয়ার বাইরে নিবন্ধিত জাহাজ ও কোম্পানির নাম রয়েছে। রয়েছে চীনে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানও। খবর বিবিসি।
উত্তর কোরিয়ায় উৎপাদিত কয়লা ও তেলের মতো পণ্যের চোরাচালান ঠেকাবার অংশ হিসেবে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র এ নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব করেছিল। নিষিদ্ধ তালিকায় থাকা তেলবাহী ট্যাংকার ও পণ্যবাহী কার্গো জাহাজগুলো বিশ্বের কোনো দেশের বন্দরে পণ্য নিয়ে যেতে পারবে না। আর তালিকায় নাম থাকা উত্তর কোরিয়ার ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পত্তি জব্দ করা হবে। পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নেওয়া সবচেয়ে বড় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এটি।
পারমাণবিক কর্মসূচি ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও জাতিসংঘ উত্তর কোরিয়ার ওপর নানা রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন স্থায়ী প্রতিনিধি নিক্কি হ্যালি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে একত্র, সাম্প্রতিক এ পদক্ষেপ তার স্পষ্ট প্রমাণ।
উত্তর কোরিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
২০০৬ সাল থেকেই তেল আমদানি ও অন্যান্য পণ্য রফতানিসহ বিভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হচ্ছে উত্তর কোরিয়াকে। কূটনীতিবিদেরা মনে করছেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করতে অব্যাহত এ চাপ গুরুত্বপূর্ণ।
সাম্প্রতিক এ নিষেধাজ্ঞায় শুধু উত্তর কোরিয়ার জাহাজ চলাচলের ওপর নয়, বরং চীনের সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে, এর ১৬টি উত্তর কোরিয়াভিত্তিক, পাঁচটি হংকংয়ে নিবন্ধিত, দুটি চীনের, দুটি তাইওয়ানের, একটি পানামা ও একটি সিঙ্গাপুরের।