প্রতিনিধি, রাঙামাটি : অতীতের বিভিন্ন নির্বাচনের মতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সারাদেশে সেনা মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান।
তিনি বলেছেন, ‘বিশেষ এলাকা হিসেবে পার্বত্য অঞ্চলে সেনা মোতায়ন রয়েছে; এখানে নতুন করে কিছু করা লাগবে না। তবে সারাদেশে নির্বাচনের আগে সেনা মোতায়েন করা হবে।’
সোমবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কোনো চাপ নেই বলে উল্লেখ করে ইসি আনিছুর বলেন, ‘আমাদের কাছে এ পর্যন্ত ৫০টির বেশি দেশ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে আবেদন জমা দিয়েছে। আমরা চাই আরও পর্যবেক্ষক আসুক।’
নির্বাচনে পক্ষপাতমূলক আচরণ নিয়ে সতর্ক করে তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে শেষ করার জন্য যা যা করণীয় সেই নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। যদি কেউ এর ব্যত্যয় করে তার দায়িত্ব তাকে নিতে হবে।
‘কমিশন সেক্ষেত্রে কাউকে সামান্যতম ছাড় দেবে না। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য কর্মকর্তাদের বার্তা দেয়া হয়েছে।’
৫০টির বেশি দেশ পর্যবেক্ষক হতে আবেদন করেছে: ইসি আনিছুর রহমান
নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে আনিছুর বলেন, ‘যে ৪৪টি দল নিবন্ধিত, নির্বাচনে তাদের অংশ নেয়া বা না নেয়া তাদের নিজস্ব বিষয়। আমরা তাদের আলোচনার জন্য ডেকেছি, এর মধ্যে ২৬টি দল এসেছিল।
‘যারা আসবে না, তাদের নির্বাচনে আনার উপায় আমার কাছে নেই। কোনো অভিযোগ থাকলে সে বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।’
পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার ঠেকাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান ইসি।
সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, বিজিবি রাঙামাটি সেক্টরের কমান্ডার মো. আনোয়ার লতিফ খান, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সহিদুজ্জামান, রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী ও রাঙামাটির জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।