Print Date & Time : 16 June 2025 Monday 8:45 pm

৫০০ কোটি টাকার প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু করবে জিপিএইচ ইস্পাত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। একইসঙ্গে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৫০০ কোটি টাকার প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, কোম্পানিটি ৫০০ কোটি টাকার নন-কনভার্টেবল, কিউমুলেটিভ, রিডিমএবোল ও নন-পার্টিসিপেটিভ প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু করবে। তবে তা পুুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে ইস্যু করা হবে।

অন্যদিকে ৩০ জুন ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ব্যতীত সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৭ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২৪ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ৪৩ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৯ টাকা ৮৯ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১২ ডিসেম্বর বেলা ৩টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ নভেম্বর।

এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের পাঁচ শতাংশ নগদ (শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য) ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৮ পয়সা আর ৩০ জুন, ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ৮ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা (ঘাটতি)। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের সাড়ে পাঁচ শতাংশ নগদ ও সাড়ে পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৪২ পয়সা আর ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৭৯ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে সাত টাকা ১৫ পয়সা (ঘাটতি)। ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ১৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৯ টাকা ৮৬ পয়সা।

২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানি। অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৪৮৩ কোটি ৮৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬৬২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৪৮ কোটি ৩৮ লাখ ৮৩ হাজার ৪৫৬টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৮ দশমিক ১৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৫ দশমিক ০৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ বা ১ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৬ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ১৭ লাখ ৩৬ হাজার ৮৫৬টি শেয়ার মোট ১ হাজার ৬৪৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে ২৬ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৪ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৪ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।