নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংক খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৫০০ কোটি টাকার পারপিচুয়াল বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংকের ব্যাসেল-৩ কমপ্লায়েন্সের শর্তপূরণ সাপেক্ষে অ্যাডিশনাল টায়ার-১ (এটি-১) মূলধন হিসেবে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে এ অর্থ সংগ্রহ করা হবে। সংগ্রহীত অর্থ ব্যাংক খাতের এ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসার প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং অন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অনুমোদনক্রমে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক ২৩ শতাংশ বা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১২ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১২ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৭৮৬টি শেয়ার মোট ৫৭০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১২ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৩ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৮ টাকায় ওঠানামা করে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা সাত পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ১৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় যথাক্রমে দুই টাকা ৯ পয়সা ও ১৯ টাকা ৪৬ পয়সা ছিল।
এর আগে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছর ছিল ১৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৯ পয়সা ও ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ১৯ টাকা ৪৬ পয়সা, যা তার আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ৩৫ পয়সা ও ১৮ টাকা ৭৬ পয়সা। ২০১৭ সালে কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১৮৪ কোটি ৪৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা, যা তার আগের বছর ছিল ২০৭ কোটি ৯০ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানি। অনুমোদিত মূলধন দুই হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৯২৭ কোটি ৩৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯২৭ কোটি ৩৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯২ কোটি ৭৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯০৩টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৯ দশমিক ৫১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী এক দশমিক ২২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪২ দশমিক ৫৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ছয় দশমিক ১৮ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে চার দশমিক ৬৪।