Print Date & Time : 23 June 2025 Monday 12:06 pm

৫০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়বে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংক খাতের কোম্পানি সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৫০০ কোটি টাকার ‘মুদারাবা পারপেচুয়াল বন্ড’ ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংকের ব্যাসেল-৩ কমপ্লায়েন্সের শর্তপূরণ সাপেক্ষে অ্যাডিশনাল টায়ার-১ (এটি-১) মূলধন হিসেবে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে এই অর্থ সংগ্রহ করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং অন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অনুমোদনক্রমে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৭৩ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৩ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৩ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে ৭০ হাজার ৪৫৬টি শেয়ার মোট ৫০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৩ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৩ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১২ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১৯ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্যাংক খাতের এই কোম্পানিটি। তথ্যমতে, তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে পাঁচ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাস (জুলাই ২০১৮- মার্চ ২০১৯) শেষে শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ৭৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৭৮ পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৪১ পয়সা, যা ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে ছিল ১৬ টাকা ৬৬ পয়সা।

২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৯৭ পয়সা, যা আগের বছর ছিল এক টাকা ৯৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৪৪ পয়সা, যা আগের বছর হয়েছিল ১৯ টাকা ২১ পয়সা। ২০১৮ সালে মোট মুনাফা করে ১৬০ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ১৪৬ কোটি ৪৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।

২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরেও ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ১০ পয়সা ও এনএভি ১৯ টাকা ২২ পয়সা।

২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানি। অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ৮৯৩ কোটি ৩৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬৮৫ কোটি ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির মোট ৮৯ কোটি ৩৩ লাখ ৪১ হাজার ৩৫৭টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ দশমিক শূন্য চার শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৪৯ দশমিক ১৫ শতাংশ, বিদেশি এক দশমিক ৩৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।