নিজস্ব প্রতিবেদক: ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের কোম্পানি ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৫০০ কোটি টাকার নন-কনভার্টেবল পরিশোধযোগ্য কুপন বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেড প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এই বন্ড ইস্যু করে ৫০০ কোটি টাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ সাত বছর। আর বন্ড ছাড়ার ৩৬ মাস পর ১২ মাস পরপর পাঁচটি কিস্তিতে এই অর্থ পরিশোধ করা হবে। কোম্পানির নির্মাণাধীন প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহের লক্ষ্যে এই বন্ড ছাড়া হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
এদিকে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকা ৬৯ পয়সা।
এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ২২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে দুই টাকা এক পয়সা এবং এনএভি দাঁড়ায় ৮৮ টাকা ৮২ পয়সা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৭৬ শতাংশ বা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৫০ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৫০ টাকা ৫০ পয়সা। ওইদিন ৯৬ হাজার ৩৫০টি শেয়ার মোট ১৯৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৪৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৫০ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫১ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৪১ টাকা থেকে ৫৪ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে।
ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের এই কোম্পানিটি ২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৯৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৪৬২ কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ২৯ কোটি ৪৪ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৫২ দশমিক ২৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ৩১ দশমিক ৮০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ৩৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ১৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ২৪ দশমিক ১৬ ও হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২৪ দশমিক ৭৫।