Print Date & Time : 23 June 2025 Monday 12:04 pm

৫০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়বে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ৫০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানি সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। আর কোম্পানিটির সপ্তম বিশেষ সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য বিনিয়োগকারীরা অনুমোদনও দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন সাপেক্ষে সম্পূর্ণ পরিশোধযোগ্য, নন-কনভার্টেবল ও লেনদেন অযোগ্য বন্ড ছেড়ে ৫০ কোটি টাকা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ব্যবসা সম্প্রসারণের পাশাপাশি ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধন বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা বাড়ানোর অর্থাৎ ১০০ কোটি টাকা থেকে ১৫০ কোটি টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন সাপেক্ষে পাঁচ কোটি অগ্রাধিকার শেয়ার ছেড়ে ৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করার সিদ্দান্ত নেয় কিন্তু সে সিদ্ধান্তের পরিবর্তে বন্ড ছেড়ে অর্থ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কোম্পানিটি সফটওয়্যার ও আইটি এনাবোল সার্ভিস খাতে তথ্য প্রযুক্তি, সফটওয়্যার, ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি), ই-ওয়ালেট, ই-গভর্ন্যান্স, ই-কমার্স, ই-কার্ড, কল সেন্টার, আইসিটি সম্পৃক্ত ব্যবসা এবং কন্ট্রাকটর, কনসালটেন্ট, এজেন্ট, ইন্ডেন্টর, সেক্রেটারিয়ার্স ও ম্যানেজিং এজেন্টের কাজ করবে। প্রেট্রোলিয়াম খাতে পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্য, এলপিজি, এলএনজিসহ সব ধরনের তেলের ব্যবসা করবে। ইলেট্রিক্যাল ও সোলার পাওয়ার সেক্টরে ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক, ফোন, ব্যাটারি, পাওয়ার প্লান্ট, সোলার ও বিদ্যুৎ সম্পর্কিত পণ্য উৎপাদন, সার্ভিসিং, বাজারজাত ও বিতরণের কাজ করবে। এবং পিভিসি পাইপ ও থার্মো প্লাস্টিক খাতে সব ধরনের প্লাস্টিক পণ্য, পিভিসি পাইপ ও ফিটিং, পিভিসি ফ্লেম, বাটন, গার্মেন্ট ও টেক্সটাইল এক্সসরিজ, প্লাস্টিক টিউবস, বোতল, গৃহসামগ্রী, পিপি ওভেন ও নন-ওভেন ব্যাগ, সব ধরনের কলম ও পেনন্সিল, স্যালাইন প্যাকেট, ইনজেকশন সিরিঞ্জ, অ্যালুমেনিয়াম ফুয়েল পেপার’র ব্যবসা করবে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর চার দশমিক ৪১ শতাংশ বা এক টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩০ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩১ টাকা। ওইদিন কোম্পানিটির ছয় কোটি ৭৩ লাখ আট হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ২১ লাখ ৮৬ হাজার ৫৬টি শেয়ার মোট এক হাজার ৭৪৬ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩১ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ২০ টাকা থেকে ৪১ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে।

প্রকৌশল খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। সর্বশেষ ৩০ জুন ২০১৮ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৯৮ পয়সা বেড়েছে। ওই সময় ইপিএস করে ৪১ পয়সা, যা তার আগের বছর একই সময় ছিল ৫৭ পয়সা লোকসান। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ৪১ পয়সা বেড়েছে। ৩০ জুন ২০১৮ তারিখে এনএভি দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৯২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১১ টাকা ৫১ পয়সা। আর ওই সময় মুনাফা করেছে দুই কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা তার আগের বছর একই সময় লোকসান ছিল দুই কোটি ৯৫ লাখ টাকা।  এর আগে ২০১৪ সালের সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৬৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়ায় ২০ টাকা ২২ পয়সা।

১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৭ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট পাঁচ কোটি ৭৩ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ১২ দশমিক শূন্য এক শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ২১ দশমিক ৮৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৬৬ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার।