প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা : বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইসের (কভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের মধ্যে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা-ভারতের গেদে ট্রেন রুট দিয়ে মালবাহী ওয়াগনের মাধ্যমে ভারত থেকে ৪৯ হাজার ৬০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ বহন করে বাংলাদেশ রেলওয়ে দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের মাধ্যমে প্রায় তিন কোটি ১৬ লাখ টাকা আয় করেছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন থাকার কারণে দু’দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়। দীর্ঘ এক মাস ১৪ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৯ মে দর্শনা রেলবন্দর দিয়ে ৪২টি রেলওয়ে ওয়াগনের মাধ্যমে এক হাজার ৪৫ টন পেঁয়াজের প্রথম চালান ভারত থেকে আসে।
স্থানীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রফিকুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরার খালিদ হাসান ট্রেডার্স নামে আমদানিকারক ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে এ পেঁয়াজ আমদানি করেন। তিনি আরও জানান আমদানিকৃত পেঁয়াজ দর্শনা রেলবন্দরে আনলোড করে ট্রাক যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করা হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন আমদানিকারক ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছেন। প্রায় প্রতিদিনই দর্শনা রেলবন্দরে ভারত থেকে মালবাহী ট্রেনে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে।
গত ৯ মে থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত এক মাস ৮ দিনে এক হাজার ২৯৯টি রেলওয়ে ওয়াগনযোগে ৪৯ হাজার ৬০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আরও পেঁয়াজ আমদানির অপেক্ষায় রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপর দিকে স্থানীয় পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট মীর মো. লিয়াকত আলী জানান, দর্শনা রেলবন্দরে ভারত থেকে একই সময়ে পেঁয়াজ, পাথর, চিনি, আদা প্রভৃতি পণ্য আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে তুলনামূলক পেঁয়াজ আমদানি বেশি হয়েছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ বেশিরভাগই দর্শনা রেল ইয়ার্ডে আনলোড করা হচ্ছে।
এছাড়া যশোর নওয়াপাড়া, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন রেলস্টেশনে ওয়াগন থেকে আমদানিকারকরা পেঁয়াজ ডেলিভারি নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, শুধু পেঁয়াজ আমদানি বাবদ ওয়াগন ভাড়া আদায় করেছেন তিন কোটি ১৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।