ক্রীড়া ডেস্ক: ডারবানে পঞ্চম দিন মাত্র ৫৫ মিনিট খেলা হয়েছে। পঞ্চম দিনের শুরুতেই মাহারাজ একাই তছনছ করে ফেলেছে টাইগারদের।
২৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে ১১ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় অতিথিরা। হাতে ৭ উইকেট রেখে সোমবার আরও ২৬৩ রান তুলতে অভাবিত কিছু করতে হতো বাংলাদেশকে। কিন্তু মাত্র ৫৩ রানে গুটিয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস। ফলে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
২৭৪ রানের লক্ষ্য এমনিতে সহজ নয়, কিন্তু যেভাবে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল এমনটাও নিশ্চয়ই ভাবেনি কেউ। শেষ অবধি অলআউট হতে হলো নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন ৫৩ রানে। ম্যাচ হেরেছে ২২০ রানে।
মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক ফেরত গিয়েছিলেন কেবল ৮ রান যোগ করে।
বাংলাদেশ যে শেষদিনে খেলতে পারেনি এক ঘণ্টাও। ওভারের সংখ্যায় খেলেছে মাত্র ১৩ ওভার। তাতেই হারিয়ে ফেলেছে সাত উইকেট। বাংলাদেশের ১০ ব্যাটসম্যানকে আউট করতে দুই স্পিনার সিমন হার্মার ও কেশভ মহারাজ ছাড়া আর কাউকে ব্যবহারই করেননি প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগার!
শেষ দিনের শুরুটা হয়েছে মুশফিক ও শান্তকে দিয়ে। তাদের শুরুর ওপর নির্ভর করছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং পারফরম্যান্স। বিশেষ করে ৭৮তম টেস্ট খেলা মুশফিক কিভাবে প্রতিপক্ষকে সামলে নেন সেদিকে নজর ছিল সবার। এদিকে, আর্ম বল বুঝতে না পেরে এলবিডব্লিউ হন তিনি। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি, ফেরেন শূন্য রান করেই। পরের ব্যাটসম্যান লিটন দাস ফেরেন মিড অনে দাঁড়িয়ে থাকা মাহারেজের হাতে সাদামাটা ক্যাচ তুলে দিয়ে। ৬ বলে ২ রান করে। কেশভ মাহারাজের স্পিন বিষে নীল মুশফিক, লিটন, ইয়াসিররা। তার একেকটি ছোবলে স্রেফ অসহায় ব্যাটসম্যানরা।
নাজমুল হোসেন শান্তও দলকে টানতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৫২ বলে ২৬ রান করে তিনি আউট হন স্টাম্পিং হয়ে। ৫৩ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। কেশভ মহারাজ ৭ আর হার্মার নেন ৩ উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং পারফরম্যান্স খুবই বাজে হলেও প্রথম ইনিংসের পারফরম্যান্সই বড় প্রভাব ফেলেছে। ডারবানের অসমান উইকেটে ৬৯ রানের লিড পেয়েছিল স্বাগতিকরা। সেই রানটাই বড় হয়ে যায় অতিথিদের জন্য। লড়াইয়ের মনোবল ঠিক থাকলেও ব্যবধান অনেক বেড়ে যাওয়ায় পিছিয়ে পড়ে মুমিনুলের দল। তাতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আরেকটি লড়াইয়ে হারকে সঙ্গী করলেন তারা।
আগামী ৭ এপ্রিল জোহানেসবার্গে দুই দলের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে। এর আগে নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নিতে পারে কিনা মুমিনুলবাহিনী সেটাই দেখার।