৫ বিলিয়ন ডলার চিকিৎসায় চলে যায় দেশের বাইরে

নিজস্ব প্রতিনিধি: প্ল্যানেটারি হেলথ একাডেমিয়া (পিএইচএ) গ্লোবাল সামিটের আহ্বায়ক ও পিএইচএ ট্রাস্টি ডা. বাশার এম আতিকুজ্জামান বলেছেন, চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের মতো দেশের বাইরে চলে যায়। আমাদের দায়িত্ব হলো এ অপচয়টা রোধ করা। টেকনোলজি ডেভেলপ করা, ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, নতুন সার্ভিস লাইন শুরু করা।

ঢাকা ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে ‘পিএইচএ গ্লোবাল সামিটের মূল পর্বের সমাপনী দিনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এবারই প্রথমবারের দেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পিএইচএ গ্লোবাল সামিট। ৯ দিনের এই সম্মেলনে দুই হাজারের বেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, গবেষক, শিক্ষাবিদ ও মেডিক্যাল শিক্ষার্থী অংশ নেন।

ডা. বাশার এম আতিকুজ্জামান বলেন, স্বাস্থ্যসেবার যে বিষয়গুলো দেশে হচ্ছে না, যেসব কারণে রোগীদের দেশের বাইরে যেতে হচ্ছে— সেগুলো যাতে দেশে করা যায়, আমরা সে দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা চাচ্ছি, নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তৈরি করতে, যাতে তারা দেশের মানুষের জন্য কাজে আসতে পারেন।

তিনি বলেন, আমাদের (পিএইচএ) কাজ হলো— নলেজ এবং টেকনোলজি ট্রান্সফার করা। একজন-আরেকজনের কাছ থেকে শেখা এবং বিশ্বায়নের যুগে একজন আরেকজনকে সাহায্য করা। আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু আমাদের স্বপ্ন অনেক বড়। আমাদের লক্ষ্য হলো— নলেজ গ্যাপটা কমানো, যাতে আমাদের স্টুডেন্টরা স্বপ্ন দেখতে পারে।

প্ল্যানেটারি হেলথ একাডেমিয়ার (পিএইচএ) চেয়ারপারসন ও ট্রাস্টি ডা. তাসবিরুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের সম্মেলন বাংলাদেশ কেন দক্ষিণ এশিয়াতেও হয়নি। আমাদের এই কনফারেন্সের আগে ঢাকার বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ১৬টি কোর্স করিয়েছি। আমরা ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে ২৩ ফ্রেব্রয়ারি পর্যন্ত এসব কোর্স করিয়েছি। ২৬ এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি আবার সামিট পরবর্তী দুই দিনের কোর্স করানো হবে।

পিএইচএ ট্রাস্টি ডা. নাসের খান বলেন, হেলথ কেয়ারে যারা যুক্ত আছেন, নার্স-টেকনিশিয়ান বা যেকোনও পর্যায়ের— তাদের ট্রেনিং, তাদের জ্ঞান আমরা অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। আমরা শুধু বিদেশি নলেজে এদেশে নিয়ে আসবো তা নয়, বাংলাদেশি ডাক্তারদের অগ্রগতিও আমরা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে চাই।

পিএইচএ ট্রাস্টি ডা. শাকিল ফরিদ বলেন, দেশের সবগুলো সোসাইটি, কলেজ অব ফিজিসিয়ানস— এ ধরনের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আমরা কাজ করছি।

১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া ৯ দিনের এই সম্মেলনে স্পিকার হিসেবে রয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ৫০ জন চিকিৎসা বিজ্ঞানী এবং দেশের ১০০ জনেরও বেশি খ্যাতিমান চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ। সম্মেলনের মূল পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি। তার আগে ১৮, ১৯, ২০, ২২, ২৩ ফেব্রুয়ারি ৫ দিনে সম্মেলন পূর্ববর্তী কোর্স অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে সামিটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। সম্মেলনের পরে ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি আরও তিনটি সেশন অনুষ্ঠিত হবে।

উদ্বোধনী দিনে এক অনুষ্ঠানে ২০২৩ সালে শিক্ষা, চিকিৎসা শাস্ত্রে, স্বাস্থ্যসেবা তথা জনস্বার্থে বিশেষ অবদানের জন্য ৮ জন চিকিৎসককে অনারারি ফেলোশিপ দেওয়া হয়। অনারারি ফেলোশিপ পাওয়া আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসকরা হলেন— ডা. সারাহ ক্যাথরিন ক্লার্ক, অধ্যাপক টিমোথি গ্রাহাম, ডা. রানী ঠাকার, ডা. ফ্রাজ মীর, ডা. রোয়ান বার্নস্টেইন, অধ্যাপক ডেভিড ট্যাগার্ট, ডা. জগৎ নরুলা এবং ডা. সার্জিও লারাচ।

সংবাদ সম্মেলনে প্ল্যানেটারি হেলথ একাডেমিয়ার (পিএইচএ) চেয়ারপারসন ও ট্রাস্টি ডা. তাসবিরুল ইসলাম, পিএইচএ ট্রাস্টি ডা. নাসের খান, ডা. মো. জাকের উল্লাহ, ডা. চৌধুরী এইচ আহসান, ডা. শাকিল ফরিদ ও ওমর শরীফ উপস্থিত ছিলেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০