নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হবে আগামী ২৫ মে, খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে হবে ১২ জুন এবং রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে হবে ২১ জুন। এ নির্বাচনে প্রার্থিদের কেউ আচরণবিধি ভাঙলে তার প্রার্থিতা বাতিল করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এ সময় সাংবাদিকরা তাকে নানা প্রশ্ন করেন।
পাঁচ সিটির ভোটে অনেকে আচরণবিধি মানছে না, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দোয়া চাচ্ছেনÑএ বিষয়ে ইসি বার্তা সম্পর্কে জানতে চান সাংবাদিকরা। আলমগীর বলেন, যারা দোয়া চেয়েছেন তারা অনেকেই প্রার্থীই না। কিসের দোয়া চেয়েছেন সেটা তো লেখা নেই। যারা নমিনেশন নেবেন এবং জমা দেবেন তারপর বোঝা যাবে। রিটার্নিং অফিসার যিনি আছেন তার লোকবল অল্প, তিনি অনেকগুলো প্রচার সামগ্রী উঠিয়ে নিয়েছেন। প্রতীক বরাদ্দ যেদিন হয়, সেদিন থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হয়। সেদিন থেকে অফিশিয়ালি আচরণবিধি না মানলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তার আগে এখন যেটা করছে আমাদের কর্মকর্তারা, সেটা অনেকটা মোটিভেশনাল।
আচরণবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে পাঁচজনের বেশি লোকবল আনা যায় না নমিনেশন পেপার জমা দেয়ার সময়। অনেক সময় এ নীতি মানা হয় না। এবারের নির্বাচনে এ বিষয়ে ইসি কী বলতে চায়? প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের আইনে আছে শোডাউন করা যাবে না। কিন্তু আমাদের কালচারটাই হলো শোডাউনের। একটা কালচার তো এক দিনে পরিবর্তন হয় না। সেজন্য আমাদের যেটা নিয়ম রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলা আছে, কোনো রকম শোডাউন করে যেন না আসে, তারা অন্তত যখন নমিনেশন পেপার জমা দিতে আসবেন, তখন যেন শোডাউন না করেন।
তিনি আরও বলেন, প্রার্থীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ করে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, আপনারা শোডাউন করবেন না। শোডাউন করলে প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে এবং এমনও হতে পারে যে শোডাউনের বিষয়টি যদি কোনো প্রচারমাধ্যমে আসে নির্বাচন কমিশনের তো একটা ক্ষমতা আছে। নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে যে তারা এখানে আসলেই অন্যায় করেছে, তাহলে নির্বাচন কমিশনও ব্যবস্থা নিতে পারে। সে ক্ষমতা ইসির আছে। প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টি নির্ভর করবে অপরাধের
মাত্রাটা কেমন ছিল। শোডাউনের মাত্রাটা দেখতে হবে না। সামান্য একটা অপরাধের জন্যও তো আর কাউকে ফাঁসি দিতে পারেন না।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর প্রতি ইসির বার্তা কী, জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, যারা প্রধান আছেন, তাদের সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা কথা বলেছেন। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছেন। যত রকম সহযোগিতা দরকার হয়, উনারা করবেন বলেছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে তারা মাঠে নেবে যাবে। এখন মোটিভেশনাল ওয়ার্ক করা হচ্ছে, তখন মাঠে নেমে যাবে। প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীদের সঙ্গে মিটিং হবে। এবার আমরা যেটা চিন্তা করছি, প্রতীক বরাদ্দের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিটিং করে ফেলব যাতে প্রার্থীরা আচরণ ভঙ্গ করতে না পারেন। প্রার্থীরা মাঠে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে পারবেন। তবে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে প্রচার চালাতে পারবেন না।