Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 11:22 pm

৫ হাজার ৮০০ পয়েন্ট অতিক্রম করলো ডিএসইর সূচক

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স প্রথমবারের মতো পাঁচ হাজার ৮০০ পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি সূচকটির যাত্রা শুরু সাড়ে চার বছরের মধ্যে এমন ঘটনা এটাই প্রথম। গতকাল সোমবার প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৮২৭ পয়েন্টে।

২০১৩ সালে শুধু লেনদেনযোগ্য শেয়ার নিয়ে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) ও ডিএসই-৩০ ইনডেক্স নামে নতুন দুটি সূচক চালু হয়। এসঅ্যান্ডপি ডাও জোনসের মেথডলজি অনুযায়ী এ দুটি সূচক গণনা করা হয়েছে। নতুন এ সূচক চালুর ক্ষেত্রে ২০০৮ ও ২০০১ সালকে ভিত্তি বছর ধরা হয়। ২০০৮ সালের ১৭ জানুয়ারি ডিএসই সাধারণ মূল্যসূচকের অবস্থান ছিল ২৯৫১.৯১ পয়েন্টে। তবে ২৯৫১.৯১ থেকে ১১০৩ পয়েন্ট বাড়িয়ে ৪০৫৫ পয়েন্ট ভিত্তি ধরে নতুন সূচক চালুর উদোগ নেওয়া হয়। তখন ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ১৯৯টি কোম্পানি নিয়ে ডিএসইএক্স সূচক গণনা করা হয়েছে।

অন্যদিকে একই দিনে চালু হওয়া ডিএসই-৩০ সূচক নির্দিষ্ট ৩০টি কোম্পানির সমন্বয়ে গণনা করা হয়। ডিএসই-৩০ সূচক ১৪৬০.৩০ পয়েন্ট থেকে যাত্রা শুরু করে। ডিএসইএক্স হলো বেঞ্চমার্ক সূচক। আর ডিএসই-৩০ হলো বিনিয়োগযোগ্য (ইনভেস্টেবল) সূচক। ডিএসই-৩০ সূচকের কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলো উপকৃত হয়।

এদিকে গতকাল সূচকের পাশাপাশি ডিএসইতে এক হাজার ২৬৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা চলতি বছরের ২২ মার্চ বা গত  সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। দিনটিতে ব্যাংক খাতের শতভাগ কোম্পানির দর বেড়েছে। এ ছাড়া বড় মূলধনি কোম্পানির গ্রামীণফোনের দর বেড়েছে বেশি। এ দুটি খাতই সূচকের উত্থানে বড় ভূমিকা রেখেছে। একই সঙ্গে বাজারে নতুন টাকার প্রবাহ বাড়ানোর কারণেও এক ধরনের আস্থার পরিবেশ বিরাজ করছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সোমবার ডিএসইতে এক হাজার ২৬৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় ১০৪ কোটি এক লাখ টাকা বেশি।  অন্যদিকে বাজার ভালো থাকায় সূচকের পাশাপাশি গতকাল সর্বোচ্চ অবস্থানে গিয়েছে ডিএসইর বাজার মূলধন, যার পরিমাণ তিন লাখ ৮৯ হাজার ১৫৯ কোটি ৯২ লাখ ৩২ টাকা।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার এবং ব্যাংকে আমানতের সুদের হার কমে যাওয়ার কারণে পুঁজিবাজারের দিকে বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া বিনিয়োগকারীরাও নতুন করে আশা দেখছেন। একই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াও লেনদেন বাড়াতে ভূমিকা রাখছে। তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফা আগের তুলনায় বাড়া এবং জুন ক্লোজিং কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশকে ঘিরে বাজারে শেয়ারের চাহিদা বেড়েছে।