নিজস্ব প্রতিবেদক: ছয়টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ চলতি বছর এমবিবিএস প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। তাদের মধ্যে চারটি মেডিকেল কলেজের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। দুটি মেডিকেল কলেজের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়। বিশেষ কারণে এই সংবাদ সম্মেলন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে আয়োজন না করে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে করা হয়। আজ শুক্রবার এই ভর্তি পরীক্ষা হবে।
যে চারটি মেডিকেল কলেজে এ বছর কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবে না তার মধ্যে রয়েছেÑরাজধানীর উত্তরার আইচি মেডিকেল কলেজ, ধানমন্ডির নর্দার্ন মেডিকেল কলেজ, রংপুরের নর্দার্ন মেডিকেল কলেজ ও রাজশাহীর শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ। অন্যদিকে রাজধানীর কেয়ার মেডিকেল কলেজ ও আশুলিয়ার নাইটিঙ্গেল মেডিকেল কলেজের নিবন্ধন বাতিল করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেন, ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ৫ হাজার ৩৮০টি ও ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৬ হাজার ২৯৫টি আসন রয়েছে। ১০৪টি কলেজের ১১ হাজার ৬৭৫টি আসনের জন্য ১ লাখ ৪ হাজার ৩৭৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস বা অন্য কোনো অসৎ কাজে শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকরা যেন জড়িয়ে না পড়েন, সে জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তৎপর রয়েছে।
দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৪৪টি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবেÑউল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মেডিকেল ভর্তিপ্রক্রিয়া ডিজিটাইজেশন করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র বহনকরী প্রতিটি ট্রাঙ্কে এমন একটি যন্ত্র রাখা হয়েছে, তাতে বোঝা যাবে ট্যাঙ্কটি কোথায় আছে, কোন স্থান থেকে কোথায় যাচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্য বলেন, পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০টায়। চলবে বেলা ১১টা পর্যন্ত। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যেন নিজ নিজ কেন্দ্রে সকাল ৮টার মধ্যে পৌঁছে যান। সকাল সাড়ে ৯টার পর কোনো শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হবে না। প্রবেশপত্র এবং বল পয়েন্ট কলম ছাড়া কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস কেন্দ্রের মধ্যে নেয়া যাবে না। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর দেহ তল্লাশি করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিএমএর সভাপতি, স্বাচিপের ও বিএমডিসির সভাপতি উপস্থিত ছিলেন।