শেয়ার বিজ ডেস্ক: উড়োজাহাজ চলাচলের আঞ্চলিক কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে উদ্যোগ নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এজন্য নিজেদের একটি বিমানবন্দরকে বেছে নেয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে অন্তত ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার। খবর: আল জাজিরা।
ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুমাত্রা প্রদেশের কুয়ালানামু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে এ অঞ্চলের সবচেয়ে ব্যস্ত ও বড় বিমানবন্দরে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় বিমানবন্দর পরিচালনা কর্তৃপক্ষ আংকাসা পুরা দুই ও ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠান জিএমআর এয়ারপোর্টস কনসোর্টিয়াম এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এ বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী সিঙ্গাপুর ও কুয়ালালামপুরের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি যাত্রী চলাচল করতে পারবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। এ হিসাবে বছরে প্রায় পাঁচ কোটি যাত্রীসেবা দিতে পারবে কুয়ালানামু বিমানবন্দর।
জিএমআর এয়ারপোর্টস কনসোর্টিয়াম জিএমআর গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। তাদের অংশীদার ফ্রান্সের অ্যারোপোর্টস দে প্যারিস গ্রুপ। এ দুই প্রতিষ্ঠান রূপান্তরিত বিমানবন্দর নির্মাণে ২৫ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এজন্য ৩৯০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। বাকি অর্থ দেবে ইন্দোনেশিয়ার আংকাসা কর্তৃপক্ষ।
আঞ্চলিক কেন্দ্রে পরিণত হলে প্রতিদ্বন্দ্বী সিঙ্গাপুর ও কুয়ালালামপুর পিছিয়ে পড়বে। এ চুক্তি নিয়ে বিতর্কও হচ্ছে। উত্তর সুমাত্রার পর্যটনশিল্প-সংশ্লিষ্ট অনেকে টেন্ডারের সময় ট্যুর অপারেটরদের না রাখার অভিযোগ করেছেন। তাদের সঙ্গে পরামর্শ না করা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা।
প্রকল্পের ব্যাপারে আংকাসা পুরা কর্তৃপক্ষের আরও স্বচ্ছ হওয়ার কথা বলেছেন ট্যুর অপারেটররা।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান-বিষয়ক উপমন্ত্রী কার্তিকা উইরজোটমোজো দেশটির সংসদে বলেছিলেন, কৌশলগত অবস্থানের কারণে কুয়ালানামু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর একটি বিশ্বমানের বিমানবন্দরে পরিণত হবে। আর জিএমআর গ্রুপের (বিদ্যুৎ ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) চেয়ারম্যান শ্রীনিবাস বোম্মিদালা বলেছিলেন, তারা ইন্দোনেশিয়ার বিমানবন্দরটিকে একটি আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে রূপান্তরের পরিকল্পনা করছেন।
তবে এ বিমানবন্দর দিয়ে বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ ও বাটামে যাত্রীরা যাতায়াত করেন। কভিড-১৯ মহামারির আগে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় সীমিত আকারে এ বিমানবন্দর দিয়ে বিমান চলাচল করত। স্থানীয় ট্যুর অপারেটরা বলছেন, আগের তুলনায় কম যাত্রী যাতায়াত করবে এ বিমানবন্দর দিয়ে। আগের মতো যাত্রী চলাচল করবে না। তাই পাঁচ কোটি যাত্রী চলাচলের বিষয় মোটেও বাস্তবসম্মত নয়। তাই জিএমআর গ্রুপ ও আংকাসার এ প্রকল্প মোটেও বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করছেন তারা।