৬৮ ডলার ছাড়িয়েছে ব্যারেলপ্রতি জ্বালানি তেলের দাম

শেয়ার বিজ ডেস্ক : আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম আরও এক ধাপ বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম ৬৮ ডলার ছাড়িয়েছে, যা গত ২০১৫ সালের মে মাসের পর সর্বোচ্চ। শীর্ষ রফতানিকারক দেশগুলো উত্তোলন কমাতে চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি এবং যুক্তরাষ্ট্রে আট সপ্তাহের মধ্যে কম উত্তোলনের প্রত্যাশায় পণ্যটির দাম বেড়েছে। খবর রয়টার্স।

গতকাল লন্ডন ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে ব্রেন্ট তেলের ব্যারেলপ্রতি দাম বেড়েছে চার সেন্ট বেড়ে ৬৭ ডলার ৮২ সেন্টে লেনদেন শেষ হয়। লেনদেনের শুরুতে পণ্যটির দাম ৬৮ ডলার ২৯ সেন্টে পৌঁছেছিল। ২০১৫ সালের মে মাসের এটিই সর্বোচ্চ দাম।

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ধরে রাখতে অপরিশোধিত তেলের উত্তোলন হ্রাস চুক্তির ২০১৮ সালের শেষ পর্যন্ত করেছে অর্গানাইজেশন অব পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক) ও ওপেক-বহির্ভূত অন্য প্রধান উত্তোলক দেশগুলো।

২০১৪ সালের শেষ সময় থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দরপতন শুরু হয়। ক্রমাগত দরপতন ঠেকাতে ওপেকভুক্ত দেশগুলো পণ্যটির সম্মিলিত উত্তোলন কমিয়ে আনতে চুক্তি সই করে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, স্বাক্ষরকারী দেশগুলো চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ছয় মাসের জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সম্মিলিত দৈনিক উৎপাদন ১৮ লাখ ব্যারেল কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয়। এর মাধ্যমে বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের মজুত পাঁচ বছরের গড়ের সমপর্যায়ে আসবে বলেও আশা করা হয়। রাশিয়াসহ ওপেকবহির্ভূত ১০টি দেশ এ চুক্তি মেনে পণ্যটির উত্তোলন কমাতে রাজি হয়।

তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চুক্তির শর্ত বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে এর মেয়াদ আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ) পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কিন্তু লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় বৃহস্পতিবারের ওপেক সভায় আবারও ৯ মাসের জন্য আর্থাৎ ২০১৮ সালের শেষ সময় পর্যন্ত উত্তোলন হ্রাস চুক্তি মেয়াদ বাড়ানো হলো।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি বিভাগ জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ প্রত্যাশা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মজুত চার দশমিক এক মিলিয়ন ব্যারেলে পৌঁছাবে, যা হবে আট সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কম মজুতদ। এ খবরও পণ্যের দাম বাড়াতে সহযোগিতা করেছে।

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০