Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 2:44 am

৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন 

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রায় সাড়ে চার বছর আগে ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি জাকির হোসেন মিলনের মৃত্যুর ঘটনায় দুই ওসিসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছে পরিবার। মিলনের চাচা অলি উল্লাহ গতকাল বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ মামলার আবেদন করেন।

বিচারক মো. আছাদুজ্জামান বাদীর আর্জি শুনে অধিকতর শুনানি ও আদেশের জন্য ১৭ অক্টোবর দিন রেখেছেন বলে জানান বাদীর অন্যতম আইনজীবী কালাম খান। ২০১৩ সালের নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের ১৫ (২) ধারায় এই আবেদনটি করেছেন মিলনের চাচা। 

মামলায় শাহবাগ থানার তখনকার ওসি মো. আবুল হাসান (বর্তমানে রমনা থানার ওসি), রমনা মডেল থানার তৎকালীন ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম, ওই সময়ে শাহবাগ থানার দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার রায়, এসআই সাইদুর রহমান মুন্সি, এসআই অমল কৃষ্ণ ও এসআই শাহরিয়ার রেজাকে আসামি করা হয়েছে।

এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার থেকে পাঁচজন পুলিশ সদস্যকেও আসামি করার আবেদন করা হয়েছে মামলার আরজিতে।

মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৬ মার্চ প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির মানববন্ধন শেষে মিছিল থেকে রমনা থানা পুলিশ মিলনকে আটক করে মারধর করতে করতে নিয়ে থানায়ও নির্মম নির্যাতন করে। মিলনের বিরুদ্ধে একটি মামলাও করে পুলিশ।

পরদিন ৭ মার্চ মিলনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়।

আরজিতে বলা হয়, ৭ মার্চ পুলিশ ভ্যান থেকে নামানোর সময় মিলনের হাতে পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ‘জখম দেখেছিলেন’ তার চাচা। 

রিমান্ডের পর থেকেই মিলন প্রচণ্ড অসুস্থবোধ করছিলেন। পরে জেল কর্তৃপক্ষ তাকে কারা হাসপাতালে পাঠায়। তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় সেখানকার একজন সহকারী চিকিৎসক মিলনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ঢাকা মেডিকেলে আনার পরপরই মিলনের মৃত্যু হয়।

অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রমনা থানার ওসি মো. আবুল হাসান বলেন, ‘কারাগারে অসুস্থ হলে তাকে (মিলন) কারা কর্তৃপক্ষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়, চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একজন ম্যাজিস্ট্রেট সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। কোথাও দাগ বা জখমের চিহ্ন আছে এমন কথা উল্লেখ করেননি। তাছাড়া ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্যাটাক বলা হয়েছে।’

তাহলে কেন মামলার আবেদন করা হয়েছেÑজানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘তারা যে অভিযোগ করেছেন সেটা সঠিক নয়। বর্তমানে এটি আদালতের বিষয়, আদালতই দেখছেন। এ ব্যাপারে এখন বিস্তারিত মন্তব্য করা সমীচীন নয়।’