নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবিএল) ৭০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করবে। গতকাল মঙ্গলবার কোম্পানির ৪১০তম পরিচালনা পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনসাপেক্ষে এ বন্ডটি ছাড়া হবে বলে কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, এ বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, নন-কনভারটেবল, নন-লিস্টেট এবং রিডেমেবল ইউসিবি-৩ সাব-অর্ডিন্টে। অর্থাৎ এ বন্ড ইস্যুর বিপরীতে কোনো জামানত রাখবে না ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠান; নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে এটি অবসায়িত হবে; কোনোভাবেই এটি শেয়ারে রূপান্তরিত হবে না। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এই বন্ড বিক্রি করা হবে। এই বন্ডের মেয়াদ হবে সাত বছর। টায়ার-২ রেগুলেটরি মূলধন বাড়াতে এই বন্ড ইস্যু করা হবে।
কোম্পানির তথ্যমতে, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬ শেষ হওয়া হিসাববছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল ইউসিবিএল। যার পুরোটাই ছিল নগদ। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল দুই টাকা ৪৯ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ২৪ টাকা ৪৩ পয়সা।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় হয়েছে ১০ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪২ পয়সা। এককভাবে ইপিএস হয়েছে দুই পয়সা। গত বছর একই সময়ে ছিল ৪২ পয়সা। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত প্রকৃত সম্পদমূল্য হয়েছে ২৪ টাকা ৫৪ পয়সা।
১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় কোম্পানিটি। বর্তমানে কোম্পানিটির ৪৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। আর ৩৯ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। বিদেশিদের কাছে আছে দশমিক ১০ শতাংশ। বাকি শেয়ারের মধ্যে সরকারের কাছে আছে দশমিক ৮১ শতাংশ; প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ।