শেয়ার বিজ ডেস্ক: চলতি বছর ৭০০ বিলিয়ন ডলার প্রতিরক্ষা বাজেট অনুমোদন নিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা বাজেট। রাশিয়া, চীন, ব্রিটেন, ফ্রান্স, সৌদি আরব, ভারত ও জাপানের মিলিত প্রতিরক্ষা বাজেটের চেয়ে এ বাজেট বেশি। খবর স্পুটনিক।
যুক্তরাষ্ট্র ৭০০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে হাজার হাজার সেনাসংখ্যা বৃদ্ধি, নতুন মিলিটারি হার্ডওয়্যার তৈরি, যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে। একে বলা যায় মার্কিন গণতন্ত্রের আরেক বিশাল সামরিকীকরণ। ২০১৯ সালে পেন্টাগনের বাজেট বেড়ে দাঁড়াবে ৭১৯ বিলিয়ন ডলার। সুপার পাওয়ার হয়ে ওঠার মধ্য দিয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ ধরনের বিপুল বাজেট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস বলেছেন, আফগানিস্তান, সোমালিয়া, ইয়েমেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মার্কিন সেনাদের লড়তে ও উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবিলা ছাড়াও লাগসই সামরিক প্রযুক্তি উন্নয়নে এ বাজেট ব্যয় হবে। এ বছর এ বাজেট বৃদ্ধি পেয়েছে সাড়ে ১৫ শতাংশ। এ বছর ৬৬৮ বিলিয়ন ডলার প্রস্তাবিত বাজেটে আফগানিস্তানসহ অন্যান্য দেশে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বাড়াতে আরও ৭১ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়।
এদিকে জাতিসংঘ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এত বিপুল সামরিক বাজেট বরাদ্দের ফলে দেশটিতে সামাজিক সমস্যা আরও গভীর হচ্ছে। দারিদ্র্য বাড়ছে এবং মানবাধিকার হ্রাস পাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র সামরিক খাতে যে খরচ করছে তা চীন, রাশিয়া, ব্রিটেন, সৌদি আরব, ভারত, ফ্রান্স ও জাপানের মিলিত প্রতিরক্ষা বাজেটের চেয়েও বেশি। অথচ ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে শিশু মৃত্যুহার উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় ছিল সর্বোচ্চ।
২০০২ সালে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক বাজেট ৩৪৫ থেকে ৪৩৭ বিলিয়ন ডলারে বৃদ্ধি করে।