শেয়ার বিজ ডেস্ক: পরবর্তী অর্থবছরের জন্য প্রতিরক্ষা বাজেটের অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সোমবার ‘জাতীয় প্রতিরক্ষা অনুমোদন’ নামের বিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে ৭১ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের জাতীয় প্রতিরক্ষা বাজেট অনুমোদন করেছেন তিনি। অনুমোদিত এ বাজেট সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হতে যাওয়া চলতি অর্থবছরের চেয়ে এক হাজার ৭০০ কোটি ডলার বেশি। খবর সিএনএন।
ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট বা এনডিএএ’তে সামরিক নীতি ও এর বাস্তবায়নে কী পরিমাণ তহবিলের দরকার হবে, তার রূপরেখা দেওয়া আছে। ট্রাম্প বলেছেন, এনডিএএ আধুনিক ইতিহাসে আমাদের সেনাবাহিনী ও যুদ্ধসৈনিকদের ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ। আমরা আমাদের সেনাবাহিনীকে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী করে তুলতে চাই।’
নতুন প্রতিরক্ষা বাজেটে সামরিক ব্যয় অনুমোদন পাওয়ার পাশাপাশি চীনের ‘জেডটিই করপোরেশন’ ও ‘হুয়াই টেকনোলজিস কোম্পানি লিমিটেডের’ সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের চুক্তির ওপর নিয়ন্ত্রণও শিথিল করা হয়েছে। এতে চীনের হুমকির প্রসঙ্গও উল্লিখিত হয়েছে। বলা হয়েছেÑসামরিক বাহিনীর আধুনিকায়ন ও বিদেশে আগ্রাসী বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যবস্থাকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় আছে দেশটি।
ট্রাম্প অনুমোদিত ২০১৯ অর্থবছরের নতুন প্রতিরক্ষা বিলে চীনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ কিছুটা শিথিল করা হলেও বিলটি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেইজিং। তাদের অভিযোগ, বিলটিতে চীনকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।
বিল সইয়ের পরদিনই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চীন বরাবরই নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার রেখেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রকে আমরা স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা ত্যাগের অনুরোধ করছি।’
সামরিক বাজেটে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান প্রথম। ২০১৭ সালে দেশটিতে সামরিক ব্যয় হয়েছে ৬১ হাজার কোটি ডলার। বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের এটি ৩৫ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক ব্যয়ের দেশ চীন গত বছর এ খাতে খরচ করেছে ২২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। গত বছর রাশিয়াকে পিছিয়ে ফেলে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যয়ের দেশ ছিল সৌদি আরব। গত বছর দেশটি সামরিক খাতে ব্যয় করেছে ছয় হাজার ৯৪০ কোটি ডলার।