Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 12:51 pm

‘৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজে আপডেট সফটওয়্যার সংযোজন সম্পন্ন’

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজে আপডেট সফটওয়্যার সংযোজনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান বোয়িং। এ মডেলটি পরপর দুই দফা বিধ্বস্ত হলে ৩৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এর পরই বিশ্বব্যাপী ৭৩৭ ম্যাক্স ওড়ানো বন্ধ রাখা হয়। খবর: সিএনএন।
গত বৃহস্পতিবার বোয়িং জানায়, আপডেট সফটওয়্যারটি সংযোজন করে ইতোমধ্যে প্রায় ৩৬০ ঘণ্টার পরীক্ষামূলক ফ্লাইটও পরিচালনা করা হয়েছে।
সফটওয়্যারটি আপডেট করে ৭৩৭ ম্যাক্স আবারও ওড়াতে মার্কিন বিমান সংস্থা ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) অনুমোদন লাগবে। কিন্তু সফটওয়্যার আপডেট বা অন্য কোনো সংযোজন করা উপাদান এ সংস্থার কাছে এখনও জমা দেওয়া হয়নি বলে এফএএ’র এক মুখপাত্র জানান।
বোয়িংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিইও ডেনিস মুইলেনার্গ বলেন, এফএএ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলোকে সব তথ্য ও আপডেটবিষয়ক তথ্য সরবরাহ করা হবে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী সব তথ্য প্রদানে বোয়িং প্রস্তুত। এমসিএএস সফটওয়্যারটি আপডেট করায় এ পর্যন্ত যত ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজ ওড়ানো হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ উড়োজাহাজে এটি উন্নীত হলো।
পাঁচ মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ৭৩৭ ম্যাক্স-৮ মডেলের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ায় মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা বোয়িং সংকটে পড়েছে। ইথিওপিয়ায় এ মডেলের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে এক সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য কমেছে দুই হাজার ৫০০ কোটি ডলার। শুধু আর্থিক ক্ষতিই নয়, উড়োজাহাজ খাতে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স-৮ বিধ্বস্ত হয়ে ১৫৭ আরোহীর সবাই নিহত হওয়ার জেরে একই মডেলের নিজেদের সব উড়োজাহাজ বন্ধ করার ঘোষণা দেয় অনেক দেশ। মার্কিন উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী কোম্পানি বোয়িংয়ের এ মডেলের উড়োজাহাজের নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী চলে তুমুল সমালোচনা। বিভিন্ন দেশ এ মডেলের উড়োজাহাজ চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করে। প্রথমে বোয়িংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ মডেলের উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ উপযোগী। কিন্তু ইথিওপিয়ায় উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার স্থল থেকে তদন্তকারীরা কারিগরি ত্রুটির নতুন আলামত পেয়েছেন বলে জানালে উড়োজাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের সব উড়োজাহাজ চলাচল স্থগিত করে।
৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের চার হাজার উড়োজাহাজের ক্রয়াদেশ ছিল বোয়িংয়ের, যা এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা হয়নি। কিন্তু চলমান এ অচলাবস্থা ক্রেতাদের অবশ্যই উদ্বিগ্ন করেছে। যদি ক্রেতারা এ উড়োজাহাজ নিতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে বড় সংকটে পড়তে হবে প্রতিষ্ঠানটিকে।