৭ কার্যদিবসে সূচক কমেছে ৪৪০ পয়েন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই বেশ কিছুদিন ধরে অস্থিরতা বিরাজ করছে দেশের পুঁজিবাজারে। গতকাল বৃহস্পতিবার বড় পতন হয়েছে পুঁজিবাজারে। গত দিন নিয়ে টানা সাত কার্যদিবস পতন হয়েছে। এ টানা পতনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় সাড়ে ৪০০ পয়েন্ট এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২০০ পয়েন্ট হারিয়েছে। সূচকের সঙ্গে অধিকাংশ শেয়ারদর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও কমেছে।

গত ৯ মে ডিএসইএক্স সূচকটি বেড়ে ৬ হাজার ৬৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। এরপর ১০ মে থেকে পতন শুরু হয়; যা গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। বৃহস্পতিবার সূচকটি কমতে কমতে ৬ হাজার ২৫৮ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। অর্থাৎ এ সাত কার্যদিবসে ডিএসইএক্স সূচকটি ৪৪০ পয়েন্ট কমেছে।

গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫১.৬৬ পয়েন্ট বা ০.৮১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৫৮.২৪ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৮.৪৬ পয়েন্ট বা ০.৬০ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৯.৮০ পয়েন্ট বা ০.৮৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৮৩.০৪ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৩১৬.৬৮ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গতকাল টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৬৬৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা; যা আগের কার্যদিবস থেকে ৯৪ কোটি ৫ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৭৬২ কোটি ৯৩ লাখ টাকার।

গতকাল ডিএসইতে ৩৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৭টির বা ১৭.৬৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ২৬৩টির বা ৬৯.২১ শতাংশের এবং ৫০টির বা ১৩.১৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল।

অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১৩৫.৪৩ পয়েন্ট বা ০.৭২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৩৯.৭২ পয়েন্টে। ওইদিন সিএসইতে হাতবদল হওয়া ২৮৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ৫৪টির, কমেছে ২০৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির দর। সিএসইতে ২৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০