৭ বছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: দীর্ঘ ৭ বছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল। সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগ পরিচালনার দায়িত্বভার কাদের ওপর পড়বে, তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। সবার মনেই একই প্রশ্ন, কে হচ্ছেন আগামী দিনের কাণ্ডারি।

জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে সম্মেলনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। পদপ্রত্যাশী ও নেতাকর্মীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে ছেয়ে গেছে জেলা শহর ও আশপাশ এলাকা। সম্মেলনের স্থানে প্যান্ডেলসহ দক্ষিণ কোণে নৌকার আদলে বিশালাকার মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার বলেন, অতিথি চূড়ান্ত করার পাশাপাশি চারটি উপজেলা ও একটি সাংগঠনিক ইউনিটের (দর্শনা থানা) ২১৮ জন কাউন্সিলর এবং ৪০ হাজার ডেলিগেট আমন্ত্রণসহ সম্মেলনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

নেতাকর্মীদের ভাষ্য, সম্মেলনে কাউন্সিলরদের মতামত ও আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতারা জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যোগ্য নেতাকেই চূড়ান্ত করবেন।

সম্মেলন উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রধান বক্তা এবং খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আমিরুল আলম, পারভীন জামান, গ্লোরিয়া সরকারের সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার কথা রয়েছে।

দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বর্তমান সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার এবং সহসভাপতি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাসের নাম আলোচনায় আছে। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলামের পাশাপাশি বর্তমান সহসভাপতি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নানের নাম শোনা যাচ্ছে।

জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি আসাদুল হক বিশ্বাস বলেন, দলের ভেতরে যারা আমার নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছেন, তাদের চাওয়া আমি সভাপতি হই।

জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি আলী আজগার টগর বলেন, সামনে আন্দোলন-সংগ্রাম মোকাবিলা করে জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর সর্বশেষ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সভাপতি হিসেবে সোলায়মান হক জোয়র্দ্দার ছেলুন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আজাদুল ইসলাম আজাদ দায়িত্ব পান। সম্মেলনের প্রায় সাড়ে ৪ মাস পর ৭১ সদস্যবিশিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি অনুমোদন দেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০